শাহানুজ্জামান টিটু: [২.১] সর্বপ্রথম আসছে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভীর নাম। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি যেভাবে সব ধরনের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলের হাইকমান্ড তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
[২.২] এরপর পরই আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
[২.৩] আলোচনায় এসেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন।
[২.৪] তরুণ নেতাদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন এবং ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদের নাম রয়েছে তালিকায়; আভাস মিলেছে শীর্ষ পর্যায় থেকে।
[২.৫] আরো কয়েকজন নেতা স্থায়ী কমিটির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী, কেউ কেউ দলের হাইকমান্ডের সুনজরেও রয়েছেন।
[৩] দলের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ৫ পদ শূন্য থাকায় নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনেকাংশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঘিরে আন্দোলনে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা গ্রেপ্তারের পর এই শূন্যতা প্রকট হয়ে ওঠে। তাই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে দলের স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠনের ব্যাপারে হাইকমাণ্ড নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৩.১] তিনি জানান, দমন পীড়নের মধ্যেও যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্য থেকেই স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হবে। আশা করা হচ্ছে রোজার ঈদের আগেই এই পদগুলো পূরণ করা হবে।
[৪] স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। রোজা ও এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জন্য এখন বড়োসড়ো কোনো আন্দোলনে যাচ্ছে না দলটি। এই সময়ের মধ্যে দলকে ঢেলে সাজোনোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব