রিয়াদ হাসান: [২] বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশ ভয়ংকর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকটে নিমজ্জিত। এখান থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে আমাদেরকে ৫২ ও ৭১ এর মূল চেতনাকে সমুন্নত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে তা মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করেছে। সেই স্বৈরশাসনের কালো থাবা থেকে দেশকে মুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। ৫২ আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয়।
[৩] বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সিপিবি এদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকার পলাশী মোড় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রভাতফেরি করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে।
[৪] এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, মানবেন্দ্র দেব, সংগঠক জাহিদ হোসেন খানসহ নেতাকর্মীরা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সারাদেশে সিপিবির নেতাকর্মীরা প্রভাতফেরি করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
[৫] সিপিবি নেতারা বলেন, স্বৈরশাসকরা আমাদের প্রভাতফেরির সংস্কৃতিকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল। সেই অন্ধকার থেকে প্রভাতফেরিকে রক্ত পলাশ ও শিমুলের রাঙা প্রভাতে ফিরিয়ে আনাই আমাদের অঙ্গীকার। সেই কারণে আমরা নগ্ন পায়ে রাঙা প্রভাতে শহীদবেদিতে এসেছি এবং সারাদেশে আমাদের সহযোদ্ধারা প্রভাতফেরি করে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
[৬] নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি স্মরণকালের সবচাইতে অব্যবস্থাপনাপূর্ণ ও বিশৃঙ্খল আয়োজন হয়েছে। স্বৈরাচারী ও একদলীয় শাসনের প্রভাব সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত এই আয়োজনে, যা কিনা ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। নিশ্চয়ই জনগণের সংগ্রাম ৫২ এর চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে মুক্তির পথ নির্দেশ করবে। শহীদ স্মৃতি অমর হোক। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরএইচ/এসসি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :