মনিরুল ইসলাম: [২] তবে গত ৫ বছর স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনের মাঠে গিয়ে বুঝা যাবে নির্বাচনী পরিবেশ কেমন। এভাবেই বললেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ।
[৩] মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন, আমরা প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম নির্বাচনে যাবো কি না। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের কথা নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ আশ্বাস দিয়েছে বলেই পরে আমরা ঘোষণা করেছি নির্বাচনে যাব ৷ নির্বাচন কমিশন বলেছে ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে তার জন্য তারা ব্যবস্থা নিবেন। এরপর মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা এবার একক ভাবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ব।
[৫] মুজিবুর হক চুন্নু বলেন, আমরা ২৯৪ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম।।মনোনয়ন দাখিল করেছে ২৮৮ জন।বাতিল হয়েছে ৯ জন। নানা কারণে ৫/৬ জন মনোনয়ন দাখিল করতে পারেননি। এখন ২৭২ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ আছে। যাদের বাতিল হয়েছে তারা নির্বাচনী আপিল বোর্ডে আপিল করবেন।
[৬] তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। ভোটের হিসাবে দেখা যায় ভোটে আওয়ামী লীগের ভোটের চেয়ে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট বেশি। আওয়ামীলীগের পক্ষের ভোট চেয়ে বিপক্ষের ভোট বেশি। ভোটাররা যাদি নির্বাচনে ভোট দিতে আসেন। ভোট প্রয়োগ করতে পারেন আমরা এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট বেশি পাবো। যেহেতু নির্বাচনে বিএনপি নেই। বিএনপি তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। কেন তারা ভোটে নাই তা সবাই জানে। তারা তাদের টেকনিকে চলে। জাতীয় পার্টি আমরা আমাদের কৌশলে চলি। আমি আশাবাদী নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকলে, ভোটাররা নির্বিঘ্ন ভোট দিতে পারলে এন্টি আওয়ামী লীগ ভোটগুলো আমরা পাব। জাতীয় পার্টি ভালো করবে।
[৬] চুন্নু তার আসনের আগের ভোটের হিসাব দিয়ে বলেন, আমার আসনে গতবার আমার ভোট আর বিএনপি ভোট মিলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ছিলো। তার কারণ এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে আমার আর বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে পড়েছিলো।এবার বিএনপি নির্বাচনের মাঠে নেই।এ হিসাবেই বুঝা যায় এবার এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট আমাদের পক্ষে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী