রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। দেশে জনগণকে এরা এলিমিনেট করেছে ভোটাধিকার থেকে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লোভ-লালসা তৃপ্তিহীন থাকছে, জনগণের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা লুটের আকাক্সক্ষা থেকেই আবারো একতরফা নির্বাচনের বন্দোবস্ত চলছে।
[৩] তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোন রদবদল করবে না বলে জানিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এটিই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো-নির্বাচনী আত্মহত্যা।
[৪] সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন রিজভী।
[৫] আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল প্রসঙ্গে বিএনপির এই মূখপাত্র বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল রোববার তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপিলকারী দল রায়টিকে ন্যায় ভ্রষ্ট বলে উল্লেখ করে তাদেরকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে।
[৬] রিজভী বলেন, যে রাজনৈতিক দলের বিস্তৃতি সারাদেশে দৃশ্যমান, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল স্তরে প্রতিনিধিত্বশীল থাকার প্রমাণিত দৃষ্টান্তের অধিকারী- তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়ার দৃষ্টান্ত সুবিচারের প্রমাণ বহন করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, এবং সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচার বিভাগের কাছেই প্রাপ্য। এর ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের সংখ্যা তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী।
[৮] তিনি জানান, ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৮০, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯৯০ জন নেতাকর্মীকে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :