রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রাত ৯টার দিকে তাকে আবার কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
[৩] এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হাওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বেগম জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ফের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
[৪] এদিকে গত সোমবার বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি এখন যাচাই বাছায়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকায় অনুমতির বিষয়টি আটকে আছে। তবে পরিবারের সদস্যরা আশাবাদী, অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি মিলতে পারে।
[৫] বেগম জিয়াকে জার্মানি নেওয়া হতে পারে, এমন খবরে সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেখানকার বিএনপি নেতা-কর্মীরা। জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া জানান, জার্মানিতে ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হতে পারে বলে জানতে পেরেছি। আমরা খুবই খুশি। ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে আসলে তার যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তার সবই করতে আমরা প্রস্তুত।
[৬] খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের সমস্যাও আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে তার অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা কমে যাচ্ছে।
[৭] অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে আবারো এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব