শাহীন খন্দকার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে আসছেন সাদ এরশাদ। এবার বেগম রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাদ এরশাদকে নির্বাহী সভাপতি করে কমিটি করা হচ্ছে। ফলে নিজ দলের ভেতরেই পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন! দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছে, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ চুপ ছিলেন। এবার তিনিই প্রকাশ্যে মাঠে আসছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতারা। আগামী সপ্তাহেই জাতীয় কাউন্সিল করার দিন-তারিখ ঠিক করতে রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
রওশনপন্থী সূত্র থেকে জানা গেছে, দল থেকে বহিস্কার হওয়া নেতাকর্মীদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল জি এম কাদেরের। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বহিস্কৃত সব নেতাকর্মীকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে পদ-পদবি সমন্বয় করার জন্য রওশনপন্থী নেতারা জিএম কাদেরকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। জি এম কাদের তাদের কথা রাখেননি। এতে বেগম রওশন এরশাদসহ অন্য নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে আগামী মার্চ মাসেই কাউন্সিল করে নতুন কমিটি করার পরিকল্পনা করছেন।
সূত্রটি জানায়, মার্চ মাসে কাউন্সিল করার কথা রয়েছে। তবে এর আগেই বেগম রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাদ এরশাদকে নির্বাহী সভাপতি এবং গোলাম মসীহকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আর জি এম কাদেরের প্রধান উপদেষ্টা আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে জাতীয় পার্টির বিশেষ উপদেষ্টা করে ২১ জনের একটি কমিটি করার কথা ভাবছেন তারা।
আগামী মাসের শুরুতেই এই কমিটির ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস মিলেছে। সূত্রটি জানায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পৃথক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বেগম রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের পুরানো দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
গত ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বেগম রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের এক মঞ্চে উঠলেও এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পৃথক আলোচনা সভা হয়। ফলে জাপার দুই পক্ষের নেতাদের মধ্যেই বিভক্তির উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রওশনপন্থীরা বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বেগম রওশন এরশাদ ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন। সাদ এরশাদ নিজে সভায় উপস্থিত হন। এই আলোচনা সভায় যারা যোগ দেন তাদের অধিকাংশকেই জিএম কাদের দল থেকে বহিস্কার বা অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব