শিরোপা জয়-পরাজয়ের দৃষ্টিকোন থেকে ম্যাচটাকে দেখলে মনে হবে হয়তো এর গুরুত্ব নেই; কিন্তু ফ্রান্স এবং জার্মানির মত দুটি দল যখন মুখোমুখি হবে, তখন নিশ্চিত অর্থেই সে ম্যাচটি মর্যাদার।
উয়েফা নেশন্স লিগের তৃতীয়স্থান নির্ধারণী এই মর্যাদার লড়াইয়ে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে ফ্রান্স। স্টুর্টগার্টের এমএইচপি এরেনায় পুরো মাচটি ছিল যেন কিলিয়ান এমবাপেময়। একটি গোল নিজে করলেন, আরেকটি করালেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গোল জার্মানির গোলরক্ষক মার্ক অ্যান্ডার টের স্টেগানের দৃঢ়তায় হয়নি।
মোটকথা জার্মানি বনাম এমবাপেই খেলা হয়েছে যেন এমএইচপি এরেনায়। ফ্রান্সের দেজিরে দুয়ো কিংবা কোলো মুয়ানি ও মার্কাস থুরামরাও অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করেছেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে গিয়ে, ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে জার্মানির ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান এমবাপে। সামনে শুধু গোলরক্ষক। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে নিজে শট না নিয়ে শেষ মুহূর্তে পাস দেন মিকায়েল ওলিসের কাছে। পায়ের আলতো ছোঁয়ায় ওলিসে বল জড়িয়ে দেন জার্মানদের জালে।
এর আগে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপের দুটি গোলের চেষ্টা রুখে দেন স্টেগান। অসাধারন শট নিয়েছিলেন এমবাপে; কিন্তু গোল পেতে ব্যর্থ হন। ফ্রান্স জার্মানির পোস্ট লক্ষ্যে ৮টি শট নেয়। কাজে লাগে ২টি। জার্মানি ৬টি শট নিয়েছিল। কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি।
মূলত ফ্রান্সের ডিফেন্স ছিল খুব শক্তিশালী। তাদের সব প্রচেষ্টা ফ্রান্সের ডিফেন্সের সামনে এসে নস্যাৎ হয়ে যেতো। দু-একটি ডিফেন্স পার করলেও ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক ম্যাইগনানের সামনে এসে থমকে গেছে। তবে একবার ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়েছিলেন ডেনিজ উনদাভ। কিন্তু গোল করার আগে ফাউলের কারণে ভিএআর দেখে রেফারি সেটিকে বাতিল ঘোষণা করেন।