গত কয়েক মাসে তাকে এবং তার দলকে নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত হলেও নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। অবশেষে মুখ খুললেন জাতীয় পার্টির এক অংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দেড় দশক আওয়ামী লীগের সঙ্গে–পাশে থাকা জাতীয় পার্টিকে আবারও ব্যবহার করা হতে পারে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে। যেখানে আওয়ামী লীগের ভোটে দলটিকে বসানো হবে বিরোধী দলের আসনে। সম্প্রতি চাউর হওয়া এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার না করলেও, নৌকার ভোট লাঙ্গলে পড়বে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার তাদের কি নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে? ভোটার তালিকায় কি তাদের নাম থাকবে না? তারা কি ভোট দেবেন না? এমন কি কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়েছে? তাহলে তারা যদি আমার পার্টিকে ভোট দেন তবে আশঙ্কা কেন?
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটাররা আমাদের ভোট দেবে। আর যদি বিএনপি তাদের ভালো সুযোগ-সুবিধা দেয়, ভোটে জিতলে বিরক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তবে বিএনপিকেও ভোট দিতে পারে। তবে জামায়াতকে ভোট দেবে না।
জি এম কাদের মনে করেন, আওয়ামী লীগসহ সব দল অংশ নিলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে আগামী নির্বাচনের। তিনি বলেন, জামায়াতকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তখনও আমরা বাধা দিয়েছি। এগুলো দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না করলে নির্বাচন ভালো হবে না। তবে এটা এখন বললেই আমি দেশদ্রোহী।
বিএনপিকে কোনঠাসা করে জামায়াতকে সামনে আনার চেষ্টা চলছে—ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে জি এম কাদেরের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার নয়, নতুন সরকারের অধীনে হতে হবে আগামী নির্বাচন। সম্প্রতি আরেক দফা ভাঙনে জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেও দাবি জি এম কাদেরের।
তথ্যসূত্র: চ্যানেল-24