শিরোনাম
◈ ৭১ এ গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে যা বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে অনুপ্রবেশকালে বিএসএফের হাতে আটক: পরিচয় মিলেছে বাংলাদেশি পুলিশ-কর্মকর্তার ◈ সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার ◈ প্রত্যাবাসন, ন্যায়বিচার ও টেকসই সমাধান নিয়ে রোহিঙ্গা সংলাপ শুরু ◈ এবান বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর দিল সরকার! ◈ নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ থাকছে না সরকারের হাতে? ◈ যুক্তরাষ্ট্রের 'দাদাগিরির' সামনে বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চীন? ◈ ওমানের গোল্ডেন ভিসা মিলবে ৩১ আগস্ট থেকে, আবেদনের যোগ্যতা ও ভিসার সুবিধা যা আছে ◈ কেউ বলতে পারছে না, কে দেশ চালাচ্ছে: জি এম কাদের ◈ দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অ‌বিশ্বাস‌্য জয় বার্সেলোনার

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

জাতীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন, সমঝোতা না হলে বাড়বে বিবাদ

মহসিন কবির: প্রধান উপদেষ্টার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রে নির্বাচন। তবে জুলাই সনদ, বিচার এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি। আর এ কারণের নি র্বাচন নিয়ে সংশয় দেখছেন সাধারণ ভোটাররা। কারণ বিগত দিনে ভোটের নামে প্রহশন করা হয়েছে। সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। 

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জোরেশোরে নেমেছে। বেশকিছু দল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রধান নির্বাচন কমশিানর বলেছেন আমরা এখন নির্বাচনমুখী। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। এমন কোনো শক্তি নেই যে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’ এরপরও প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না—এ প্রশ্ন এখন দেশের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। শহর-নগর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত আড্ডা, অফিস, গণপরিবহন কিংবা বাজার—সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। মূলত জুলাই সনদ ঘোষণা নিয়ে জটিলতা ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সুরাহা না হওয়ায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা জানি বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য এ পদ্ধতি এখনো উপযোগী নয়।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনের টানাপোড়েন ও অনিশ্চয়তা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না—এ প্রশ্নে সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সবার মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা কাজ করছে। মূলত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী মন্তব্য-সমালোচনায় উত্তেজনার পারদ আরও চরমে। 

অবশ্য কোনো কোনো দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে। এরই মধ্যে সহিংসতার আশঙ্কা, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা, ভোটার উপস্থিতি এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও শঙ্কা বাড়ছে, তবে সাধারণ মানুষ এখনো আশাবাদী যে, সব রাজনৈতিক দল আলোচনায় বসবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের হবে। গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে শহরের চাকরিজীবী পর্যন্ত অনেকেই চান, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরুক।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের অংশগ্রহণ ও ঐকমত্য নিশ্চিত করা জরুরি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি না হলে ভোটে অনাগ্রহ বাড়বে এবং সহিংসতার ঝুঁকি থেকে যাবে। সাধারণ ভোটাররা আশঙ্কা করছেন, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে দৈনন্দিন জীবন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট একসঙ্গে দেখা দিতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান প্রশ্ন ‘ভোট আদৌ হবে তো?’—এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষ প্রায় প্রতিদিন করছেন। বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এমনকি শ্রমজীবী মানুষও ভোট নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা’ অনুভব করছেন। রাজধানীর এক চা দোকানি বলেন, ‘ভোট হলে তো সবাই ভালো, কিন্তু শুনছি এখনো দলগুলো একমত হয়নি। আসলেই ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে কি না, বুঝতে পারছি না।’ এমন শঙ্কা শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ নয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা কিংবা বরিশাল—সব জায়গায় ভোট নিয়ে একই ধরনের প্রশ্ন উঠছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইসি নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি চালালেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কাটছে না। বিএনপি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ভোট হবে এবং হতে হবে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলে নির্বাচন বিলম্ব করতে চাইছে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন দেশে নির্বাচনের পরিবেশ, প্রার্থীদের সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।

এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং আলোচনার অভাব নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাকে গভীর করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় নির্বাচন সবসময় গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। কিন্তু ভোটারের একটি বড় অংশ এরই মধ্যে আস্থা হারিয়েছে বলে ধারণা আছে। অনেকেই মনে করছেন, আগের অভিজ্ঞতার কারণে মানুষ ভোটের ফল নিয়েও সন্দিহান। রাজধানীর মিরপুরের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, ‘আমরা চাই সবাই ভোটে আসুক, প্রতিযোগিতা হোক। কিন্তু যদি একপক্ষ না আসে, তখন নির্বাচনের ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ থাকে না। তাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কীভাবে দেখছেন রাজনীতিকরা: নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছেন। এখান থেকে বোঝা যায়, তার আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সুতরাং প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে আমরা পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। সাধারণ মানুষ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনকারী সব দলও আস্থা রাখবে। তবে বিভিন্ন দলের কিছু নেতার বিতর্কিত বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মাঝে নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন জন্ম দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং আরও হতে পারে। কারণ পরাজিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী স্বৈরাচার কখনোই চাইবে না দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হোক এবং নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসুক। তাহলে তাদের যেসব দোসর সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বহাল তবিয়তে আছে, তারা সুযোগ নেবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। বরং অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত যথাসময়েই নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।’

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন না হলে দেশ আরও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে। ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে। দেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দেবে, যা কোনোমতেই কাম্য হতে পারে না। যারা বিভিন্ন দাবি তুলে নির্বাচন পেছাতে চান তারা দেশপ্রেমিক শক্তি নয়।’

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ গণমাধ্যমকে বলে, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা তো আমরাই প্রথমে বলেছিলাম। হয়তো আরও কেউ এ দাবি জানিয়ে থাকতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা আরও আগে নির্বাচন হলেও প্রস্তুত। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিছু জিনিস অবশ্যই লাগবে। আমরা এরই মধ্যে বলেছি, জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন করতে হবে; জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং তার আলোকেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। তা ছাড়া আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলেছি। কারণ সরকারের অঙ্গীকার হলো সুষ্ঠু নির্বাচন করা। ফলে পিআর ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বরং কেন্দ্র দখল হবে, পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন তো অযথা নয়। নিশ্চয়ই বৈধ প্রশ্ন আছে। জনগণ চায় সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তো দেখা যাচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা বা অন্য উপদেষ্টাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকলে তো প্রশ্ন উঠত না। আমরা নির্বাচন চাই। তবে সেটা অবশ্যই ভালো নির্বাচন হতে হবে। আর ভালো নির্বাচন হওয়ার একমাত্র পথ পিআর পদ্ধতি।’

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আমরা একটা অস্থির সময় পার করছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সবদিকে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়তে। কিন্তু ১৪শ শহীদ ও ২৫ হাজার আহত-পঙ্গুর রক্তবিধৌত অভ্যুত্থানের পর নির্বাচনী আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আরও কিছু মৌলিক আকাঙ্ক্ষা যুক্ত হয়েছে। সেটা হলো বিচার ও সংস্কার। এর বাইরে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরে আসার একটা শঙ্কাও অনেকের মধ্যে আছে। বড় একটি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন হলো প্রায়োরিটি। এর যথেষ্ট যুক্তিও আছে। আবার যারা গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের কাছে প্রায়োরিটি হচ্ছে বিচার, সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নিশ্চয়তা। সাধারণ জনগণ এই দুই আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন নানা যুক্তি-তর্ক ও যার যার অবস্থানগত বক্তব্যের কারণে মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত। মূলত, এসব কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলেও এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও বিতর্কমুক্ত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে অনেকের মাঝে।’

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই জোরেশোরে এবং অত্যন্ত কনফিডেন্সের সঙ্গে বারংবার তাদের কমিটমেন্ট পুনর্ব্যক্ত করেছে বা করছে। তবে নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি অংশ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার ব্যাপারে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারির বাইরে নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা বলছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না তাদের উদ্দেশ্য হলো জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো। দেশের মানুষ যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চায়। তবে নির্বাচনের আগে গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বিশ্লেষক মত: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো. সাহাবুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা। বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের অভাব মানুষের মনে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করেছে। তাই ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে একাধিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট একসঙ্গে দেখা দিতে পারে। সামাজিকভাবে মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়বে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হলে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়বে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতির প্রতি অনীহা তৈরি হবে এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকি বাড়বে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়