রাজধানীর গুলশানে সাবেক নারী সংসদ সদস্যের (এমপি) বাসায় হানা দিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে অনেকে তাদের ফেসবুক আইডিতে ওই ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন জানে আলম অপু। সূত্র: কালবেলা
তিনি ৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে চাঁদা আদায়ের ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসায় যাওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয় বলে ওই ভিডিওতে দাবি করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া অপু।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নিতে যে ছেলেকে দেখেছেন, সেটা আমি। আপনারা একটি ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে, সমন্বয়করা চাঁদাবাজিতে জড়িত। যে সমন্বয়ক গত বছর ছিল মহানায়ক, তারা হয়ে গেল চাঁদাবাজ।’
খেদোক্তি ও হতাশা প্রকাশ করে অপু আরও দাবি করেন, ঘটনার দিন ভোর ৫টায় পুলিশের ওই জোনের এক কর্মকর্তাকে অবগত করে একদম অফিসিয়াল প্রসেসে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শাম্মীর বাসায় তারা ‘অভিযান’ চালান। আর সেই ‘অভিযানে’ যাওয়ার আগে গুলশানের কোনো একটি জায়গায় উল্লিখিত উপদেষ্টার সঙ্গে তার কথা হয়।
অপু প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মিডিয়ায় সেই বিষয়টি নেই কেন? আগের রাতে অভিযানের বিষয়টি মিডিয়ায় ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন? ভোরবেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেই অভিযানের তথ্য নেই কেন। অভিযানের সময় আমরা বুঝতে পারি, শাম্মী সেখানে ছিলেন। তথ্য পেয়ে তিনি পালিয়েছেন। যে আড়াই মিনিটের ভিডিও ভাইরাল করে আমাদের রাতারাতি ভিলেন বানানো হলো, তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ, সৎ সাহস থাকলে আগের রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুন। দেখি কে ফোন করছেন, কার ফোনে শাম্মী ওই বাসা থেকে বের হয়েছেন। আমরা যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিযানে গেলাম, সেখানে আমাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল—সেগুলো প্রকাশ করুন।’