মনিরুল ইসলাম: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজার সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের শত শত নেতাকর্মী। খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় অবতরণ করে শীর্ষ নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়রের পর ফিরোজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷ তিনি এখন এয়ারপোর্ট রোড অতিক্রম করছেন। রাস্তায় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে। দুই হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তারা আবেগতাড়িত। উল্লসিত।
এদিকে, গুলশান-২ থেকে গুলশান এভিনিউতে মহিলা দলের নেতা- কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। হরেকরকম শ্লোগান দিচ্ছেন। স্বাগতম, স্বাগতম, দেশনেত্রীকে স্বাগত।
গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মিলিয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে নিরাপত্তার কড়া বলয়।
দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের অনেকে জোর গলায় বলছেন, ‘দেশনেত্রী ফিরছেন—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।’ কেউ কেউ আবার মুঠোফোনে ফেসবুক লাইভে আছেন ফিরোজার সামনে থেকে।
বনানী শেরাটন হলের সামনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে অবস্থান নিয়েছেন জাসাস এর নেতা- কর্মীরা।
অন্যদিকে, ফিরোজা প্রস্তুত করা হয়েছে গতকাল সোমবার। গুলশানের ৮০ নং সড়কের ১ নং বাড়িটি ‘ফিরোজা’। এই বাড়িতেই থাকেন থাকবেন বেগম খালেদা জিয়া। চারদিকে দেয়াল ঘেরা, সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য কক্ষ। পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ এবং চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স(সিএসএফ)এর সদস্যরা।
বাসার ভেতরের সব কক্ষগুলোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ করা হয়েছে। সামনের সবুজ আঙিনায় ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামের বাসা কমপ্লিটলি রেডি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, বাসার আঙিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনরা সব কিছু তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।