রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যেন নির্যাতন আর হত্যার নির্মম খড়গ। তাদের মনে নিত্য জেগে রয়েছে কেবল হত্যার উল্লাস।
[৩] মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] রিজভী বলেন, ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফ’র বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে পারছেনা। আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক গতকাল নিহত হাসান মিয়াসহ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি মানুষদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
[৫] তিনি বলেন, ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেন শেখ হাসিনা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোন যায় আসে না। তার সকল অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত।
[৬] বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশবিদেশে সর্বজনবিদিত। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারা নির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
[৭] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান ডামি সরকারের অভিন্নহৃদয় বড় বন্ধু হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দিয়ে দিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী নিপীড়ক সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে দেখা যাচ্ছে। হিউম্যান স্প্রিটশূন্য বিএসএফ’র রক্তপিপাসু ভূমিকায় সারা জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উৎকণ্ঠিত। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আরএইচ/কে/একে
আপনার মতামত লিখুন :