আমিনুল ইসলাম: [২] জনগণের জন্য সব সময় কাজের প্রত্যয় ব্যক্ত করে মাসব্যাপী গণইফতার কার্যক্রম শেষ করেছে এবি পার্টি। গণইফতার কার্যক্রমের শেষ দিনে সামর্থ্য অনুযায়ী সব সময় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন মাসব্যাপী গণ ইফতারে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ।
[৩]এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক ইসমাঈল সম্রাট ।
[৪]প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহসিন রশীদ বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার দায়িত্ব সরকারের অথচ কাজ করছে এবি পার্টি। জনগণকে একমুঠো খাবারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে, এর কারণ জনগণের খাবারের টাকা আজ আওয়ামীলীগ চুরি করে বিদেশে পাচার করছে। তারা দেশের মানুষকে দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়ে নিজেরা ইউরোপ আমেরিকায় এমনকি আফ্রিকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আর খাবারের জন্য বসে থাকলে হবেনা, নিজেদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামতে হবে।
[৫] সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা আপনাদের জন্য কিছু করতে পেরে ধন্য মনে করছি। আমাদের সামর্থ্য সীমিত, কিন্তু আমরা আপনাদের ভালোবাসি, আপনাদের পরিশ্রমের ঘামের গন্ধ আমাদের প্রিয়। আমরা আপনাদের মনে ভাব বুঝি। গতবছর রমজানে আপনাদের সাথে ছিলাম, এবছরও ছিলাম আগামীতেও আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী সারা বছর আপনাদের নিয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
[৬] আমিনুল ইসলাম এফসিএ বলেন, একবেলা খাওয়া না খাওয়ায় কিছু আসে যায় না। আমরা বা আপনারা কেউ মারা যাবোনা কিন্তু যেভাবে দেশের মানুষ তার অধিকার হারাচ্ছে সেভাবে কেউ বেচে থাকতে পারবেনা। আজ রাষ্ট্রে মানুষের নিরাপত্তা নাই, শিক্ষা বা চিকিৎসার কোন অধিকার নাই। মানুষ যদি সঠিক শিক্ষা না পায়, নিরাপত্তা না পায় অসুস্থ হলে চিকিৎসা না পায় তাহলে তার পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই আপনারা আমাদের সাথে আসুন, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন এবং অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিন।
[৭] গণইফতারের শেষ দিনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএমএইচ আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
