মাজহার মিচেল: রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সোমবার সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, সারাদেশে ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক বিনোদন পার্ক রয়েছে।
বাপা’র মিডিয়া সমন্বয়কারী এম মাহফুজুর রহমান আমাদের নতুস সময়কে বলেন, রাজধানীতে পূর্ণরুপে প্রায় ১০০টি বিনোদন পাক রয়েছে যা মোট চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারছে। এ ঈদে প্রায় ১শ কোটি টাকা আয় হবে বলেও তিনি জানান।
ব্যাপক চাহিদা থাকলেও হাতেগুনা কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে বাধ্য হয়েই বারবার যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
যেকোনও উৎসব কিংবা জাতীয় ছুটিতে এই অভাব আরও স্পষ্ট হয়। এতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়াতে গিয়ে একপ্রকার ভোগান্তিতে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের।
এবিষয়ে নভোথিয়েটারের সামনে কথা হয় বিচেন্দ্র নামের এক অভিভাবকের সঙ্গে। এখন পর্যন্ত ছয় বার পরিবার নিয়ে নভোথিয়েটার এবং সামরিক জাদুঘরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে তার তিন মেয়ে এবং ছোট ছেলে আছে। শহরে বিনোদনকেন্দ্রের অভাব বলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখানে এসেছেন এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিভাবক।
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা, উত্তরার দিয়াবাড়ির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ, হাতিলঝিলের নয়নাভিরাম দৃশ্য, সবুজের সমারোহ ও পাখির কলতানে মুখর বোটানিক্যাল গার্ডেন, শিশুপার্কগুলোতেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা মোদ্দাসের হোসেন বলেন, যাওয়ার তো তেমন কোনও জায়গা নেই। চিড়িয়াখানায় পশুপাখি দেখার পাশাপাশি গাছপালার মাঝ দিয়ে পরিবার নিয়ে হাঁটা যায়, তাই আসি।
এতে অনেকটা একঘেয়েমি অনুভব করেন বড়রা। আর শিশুরা আগ্রহী হয়ে উঠছে অনলাইন গেমস অথবা শপিং মলের কৃত্রিম কিডস প্লে জোনে।
উৎসবের দিনগুলোতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় থাকা এবং স্থানীয় কোনও খোলা পার্ক না থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিকল্প বিনোদনকেন্দ্র গড়ে উঠছে। কেউবা আবার কেবল উৎসবের দিন সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টে সময় কাটিয়েই বিনোদন নেন।
রাজধানীর হাতিরঝিল, মাওয়া এক্সপ্রেস, ৩০০ ফুট সড়কসহ স্থানীয় বিভিন্ন সড়কে উৎসবের দিনগুলোতে দলবেঁধে ঘুরতে দেখা যায় তরুণ সম্প্রদায়কে।
অনেক শিশু এখন বিভিন্ন মাল্টি শপিং মলে অবস্থিত ভার্চুয়াল ও প্লে জোনে সময় কাটাতে হচ্ছে।
এমএম/এনএইচ