শিরোনাম
◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ◈ সঙ্কটে এশিয়া কাপ! দা‌বি না মান‌লে, প‌রের ম‌্যাচ আরব আ‌মিরা‌তের বিরু‌দ্ধে খেল‌বে না পাকিস্তান ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ নেতানিয়াহুর পাশে আমেরিকা, লক্ষ্য হামাস ধ্বংস: রুবিও ◈ বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ ◈ ম‌তের মিল হ‌চ্ছে না,  জামায়াতের সাথে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে যে সব কারণে

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাগজের ফুল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন শাহজাহান 

শাহজাহান মৃধা

সনতচক্রবর্ত্তী: তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে গন্ধহীন কাগজের রংবেরং এর বিভিন্ন ফুল বানিয়ে তা আবার বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন ফরিদপুর জেলার মধুখালির উপজেলায় বাগাট দক্ষিণ পাড়া গ্রামের শাহজাহান মৃধা (৫৫)। 

শাহনাজ মৃধা প্রতিদিন কোনো না কোনো উপজেলায় কাগজের ফুল বিক্রি করে। বিশেষ করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী, মধুখালি, রেলস্টেশনে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, পথে পথে ঘুরে রঙ্গিন কাগজের ফুল ও প্লাস্টিকের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সারাদিন প্রচন্ড রোদ কিংবা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফুল বিক্রি করেন। নিজ হাতে তৈরী কাগজের ফুল বিক্রি করাই তো তার অন্ন জোগানোর একমাত্র উৎস। 'ফুল নেবে ফুল', 'লাল-নীল রঙ্গিন কাগজের ফুল'-রেলস্টেশন, বাজার এবং  গ্রামের পথে পথে কাগজের ফুল বিক্রেতার হাঁক শুনলেই গ্রামের ছোট বড় সকলেই ছুটে আসেন ফুল নিতে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বোয়ালমারী রেলস্টেশনে দেখা মেলে কাগজের ফুল বিক্রেতা শাহনাজ মৃধার সাথে। ফুল বিক্রি নিয়ে শাহনাজ মৃধা বলেন, আমি আগে কৃষি কাজ করতাম। বয়স হয়েছে তাই তেমন শক্তি পাই না। অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায়। ৩৫ বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছি।
 স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই অভাবের সংসারে এভাবেই জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন সকাল হলেই ফুল বিক্রি করতে চলে যাই কোন না কোন জেলা উপজেলায়। প্রতিটি ফুল ১০- ১৫ টাকায় বিক্রি করে সারাদিনে কমপক্ষে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। কিন্তু সব কিছুর দাম বাড়তি কেউ আগের মতো ক্রয় করে না। বাজার বা স্টেশনে এখন আর তেমন জনসমাগম নেই, সবকিছুর দাম বাড়তি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরচ্ছো না, তাই ফুলও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। কোনো রকমে হাতে তৈরি কাগজের ফুল বিক্রি করে মানবতার জীবন যাপন করছি। এভাবেই চলে আমার জীবন জীবিকা। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়