শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৪, ০১:০৮ রাত
আপডেট : ০২ মার্চ, ২০২৪, ০১:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর কতোভাবে আমাদের মরতে হবে?

ড. কামরুল হাসান মামুন

ড. কামরুল হাসান মামুন: [১] ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপ অন করেই দেখি বেইলিরোডের আগুনে পুড়ে ৪৩ জন মারা গিয়েছে। রাতের টিভি সংবাদ দেখে এমন একটি আভাস  পেয়েছিলাম যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং কোনো মানুষ মারা যাবে না। তাই সকালে উঠে ৪৩ জনের মৃত্যু সংবাদ ছিল একটি mighty blow আগে পুরান ঢাকায় আগুন লাগলে মানুষ মারা গেলে চিকন রাস্তার অজুহাত দেওয়া হতো। বেইলিরোডের রাস্তাতো চিকন না। ফায়ার ফাইটারদের গাড়ি ঢুকতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাহলে উন্নত বাংলাদেশের রাজধানীর অভিজাত এলাকায় আগুনে এতো মানুষ কীভাবে মারা গেলো? আর কতভাবে আমাদের মরতে হবে?

[২] সভ্য ও শিক্ষিত মানুষেরা জীবনের মূল্য বুঝে। একটি শিক্ষিত ও সভ্য দেশের মানুষ ঝুঁকির সম্ভবনাকে মারাত্মক গুরুত্ব দেয়। সব রকমের ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য সর্বদা ‘সতর্ক’ থাকাই হলো শিক্ষিত ও সভ্য মানুষের দেশের স্বাক্ষর। সেই জন্যই সভ্য দেশের একটা ইনডেক্স হলো সেই দেশে ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী। মানুষ ঘরের ইন্সুরেন্স, ফসলের ইন্সুরেন্স, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ইন্সুরেন্স, গাড়ির ইন্সুরেন্স, শরীরের ইন্সুরেন্স, দাঁতের আলাদা ইন্সুরেন্স করে। ইন্সুরেন্স করা থাকলে কোনো ক্ষতি হলে অতি দ্রুত ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও ইন্সুরেন্স আছে কিন্তু তাদের কাছ থেকে মামলা মোকদ্দমা ছাড়া অর্থ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সেই জন্যই কখনো অর্থ দিলে তার ছবি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়। 

বেইলিরোডের আগুনে পোড়া সেই ভবনের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যদি ইন্সুরেন্স করা থাকতো তাহলে ইন্সুরেন্স কোম্পানিই চাপ দিয়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ফায়ার এক্সিট সিঁড়ির ব্যবস্থা করতো। এই দেশের মানুষ ইন্সুরেন্স করে না। কারণ এটাকে অপচয় মনে করে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে লাভ করার চেষ্টা করি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হই। কদাচিৎ একটা এক্সিডেন্ট হবে তার জন্য সতর্ক হওয়া এবং সতর্ক হয়ে ইন্সুরেন্স করা আমরা শিখিনি। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে একটা সাবজেক্ট আছে যার নাম actuarial science! এই বিষয়টার নামই অনেকে জানে না। আমাদের ইন্সুরেন্স কোম্পানির অনেকেই হয়তো জানে না। অথচ উন্নত বিশ্বে এটি অত্যন্ত ডিমান্ডিং সাবজেক্ট এবং উচ্চ বেতনের চাকরি পায়। 

লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়