আমরা ভারতীয় মুসলিম : এই সেই ভয়ংকর দিন যেখানে মুসলমানদের অসহায় করে দেওয়া হয়। অর্থশালী মুসলমানরা গরিব মুসলমানদের অসহায় করে দেয়।
৪ জুন ১৯৪৭ ডেইলি হেরাল্ডের প্রথম পাতায় এই ম্যাপটা ছাপা হয়েছিলো। কীভাবে ভারত ভাগ হতে পারে, তার একটা রিপ্রেজেন্টেশন ছিলো এই ম্যাপটা। তখনো পার্টিশনে কোন অংশ কোথায় যাবে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। অবিভক্ত বাংলা, আর পাঞ্জাব তখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিলেট, বেলুচিস্তান, সিন্ধ আর নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স সিদ্ধান্ত নেয়নি যে তারা ভারত নাকি পাকিস্তানে যাবে। প্রিন্সলি স্টেটগুলো যেমন ছিলো তেমনই থাকবে, সিদ্ধান্ত ছিলো তাই। এখানে বলে রাখি প্রিন্সলি স্টেট কী।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান যখন স্বাধীন হয়, তখন উপমহাদেশে ২ ধরনের অঞ্চল ছিলো। [১] সরাসরি ব্রিটিশ শাসনাধীন অঞ্চল, যেমন বাংলা। [২] ব্রিটিশদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ প্রায় স্বাধীন রাজ্যসমূহ। এদের প্রিন্সলি স্টেট বলা হত। রাজ্যগুলো ব্রিটিশদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতো, প্রায় স্বাধীনতা ভোগ করতো। প্রতিটি রাজ্য ব্রিটিশদের সাথে আলাদা আলাদা চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলো, শর্তেরও ভিন্নতা ছিলো। এ ধরনের রাজ্যের সংখ্যা ছিলো ৫৬৫ টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেপাল, ভূটান, সিকিম, হায়দ্রাবাদ, ত্রিপুরা, কাশ্মীর, জুনাগড়, কোচবিহার ইত্যাদি। এর মধ্যে নেপাল ও ভূটান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে আছে। ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগের পর কিছুকাল স্বাধীন ছিলো হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীরসহ অনেকগুলো রাজ্য। ভারত নিতান্তই আজকের ভারতের অর্ধেকের মতো ভূমির অধিকারী ছিলো। কিন্তু ভারত ক্রমে ক্রমে প্রিন্সলি স্টেটগুলোকে যুক্ত করে নেয়। প্রথমে করা হয় হায়দারাবাদ, তারপরে একে একে সবগুলো। কোথাও সুবিধা দিয়ে, কোথাও ভাতা দিয়ে, কোথাও শক্তি প্রয়োগ করে আর কোথাও কূটনৈতিকভাবে যুক্ত করে। এই যুক্ত করার সর্বশেষ ঘটনা ছিলো কাশ্মীর। সংগৃহীত। ফেসবুকে ২০-০২-২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :