আরিফা রহমান রুমা: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিংস্র, উন্মাদ এবং প্রচণ্ড শিক্ষকের বক্তব্য শুনলাম। শুধু চাকরি গেলেই হবে না তার মিথ্যাচার আর হিংস্র আচরণের জন্য শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমি যুক্তরাষ্ট্রে আছি, আমার বাচ্চারা এখানে পড়াশোনা করছে, আমার ভাই যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করে সেখানেই চাকরি করছে। এই দুটো দেশ সম্পর্কে তার মিথ্যাচারে আমি স্তম্ভিত। আজকে আমি নারী হয়ে নাও জন্মাতে পারতাম। আমার ভাইবোন বা সন্তানদের কেউ ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া হয়ে জন্মাতে পারতো। নারী-পুরুষের পাশাপাশি ‘হিজড়া’ আরেকটি ধারা। আমি একে ত্রুটি বলতে রাজি নই, এটি বৈচিত্র্য।
মানুষ হিসাবে আমরা সবাই সমান মর্যাদা এবং সম্মানের অধিকার রাখি। সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ‘শরীফা’ অনুচ্ছেদে সেই বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। আমাদের দেশে যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখেছিলেন সেই অন্ধ ও বধির গোষ্ঠী একইভাবে ‘শরীফা’র সেই অধ্যায়ে সমকামিতাকে উৎসাহিত করার বিষয়বস্তু দেখতে পাচ্ছে। দুটো পৃষ্ঠা যে একটু পড়ে দেখবে সেই ধৈর্যটাও তাদের নেই। কোনো উন্মাদ বলেছে যে, চিলে কান নিয়ে গেছে আর এরা দৌঁড়াতে শুরু করেছে সেই চিলের পিছে। আরে উন্মাদ, নিজের কানে হাতটা দিয়ে দেখলেইতো হয়। ফেসবুকে ২৩-১-২৪ প্রকাশিত হয়েছে।