আশরাফুল আলম খোকন: এবার দেশে যাবার আগে অনেকেই ফোন করে বলেছিলেন ভাই, ‘এই সময়ে দেশে আইসেন না’। এর মধ্যে আমলা-রাজনীতিবিদ অনেকেই আছেন। দেশে যেতে বলা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কমই ছিলো। যেতে না বলারও কারণ আছে। ৩৫ দিনের জন্য, দেশে গিয়েছিলাম ২৭ অক্টোবর। বিএনপি-জামায়াতের হুমকি ছিলো ২৮ অক্টোবরের পর দেশ তাদের দখলে চলে যাবে। এটাই ছিলো আমার হিতাকাক্সক্ষীদের ভয়। সরকারের ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগী কারা ওই সময়ে ট্যাকনিকেলি দেশের বাইরে অবস্থান করছিলো, তাদেরও ছোটোখাটো একটা তালিকা দিলো। তাদের শুধু বলেছিলাম, বিএনপি-জামায়াতের মনস্তাত্ত্বিক গেইমে আপনারা পরেছেন। তারা এসব অপপ্রচার করে আমাদের মানসিকভাবে দুর্বল করতে চায়। আর মানসিকভাবে দুর্বলরা কোনো খেলায়ই জিততে পারে না। উল্টো বিএনপি-জামায়াতকে কীভাবে মানসিকভাবে দুর্বল করা যায় সেই পরিকল্পনা করেন। শুধু বক্তৃতায় হুমকি ধামকি, কাউন্টার প্রচার, উন্নয়নের ভিডিও কন্টেন্ট ও পোস্টার বানিয়ে তাদের দুর্বল করা যাবে না। আর আমি বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আমি একটা বিষয় দেখেছি, নিজের সততা ও কাজের প্রতি উনার আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ়। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তাঁর অগাদ ভালোবাসা। এ ধরনের মানুষ কখনো হারে না, হারতে পারে না। সামনে শুধু একটাই চ্যালেঞ্জ, নির্বাচনটাকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও জনগণের জন্য অংশগ্রহনমূলক করা। দেশি-বিদেশি, বাকিসব আশঙ্কা উনার ব্যক্তিত্বের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। ফেসবুক থেকে