দেবদুলাল মুন্না, ফেসবুক: হেনরি কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের বিরোধিতা করেছিলেন এবং দেশ স্বাধীনের পর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন।
বাংলাদেশ জন্মের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই তিনিই যে ভুল করেছিলেন সেটা স্বীকার করে গেছেন।তিনি সেসময় আরও স্পষ্টত বলেন, আমেরিকার কোন স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নেই, শুধুমাত্র রয়েছে নিজ স্বার্থ।
বলেন, ক্ষমতা হল চূড়ান্ত কামোদ্দীপক।
হেনরি কিসিঞ্জার তার হোয়াইট হাউস ইয়ার্স-এ লিখেছিলেন, 'ইস্যুটি (পাকিস্তান সংকট) আমাদের উপর বিস্ফোরিত হয়েছিল যখন পাকিস্তান ছিল চীনের জন্য আমাদের একমাত্র চ্যানেল, যেখানে আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা সহকারী এবং পরবর্তীকালে সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসাবে কাজ করেছিলাম।
চিন-সোভিয়েত দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে দ্বিমেরু বিশ্বে সেই শীতল যুদ্ধের যুগে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবকে অস্বীকার করার জন্য পিকিং, এখন বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম যদিও উভয় দেশই কমিউনিস্ট ছিল।
আর সেজন্য চিনকে খুশি রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মার্কিন পরমাণু শক্তিচালিত বিমানবাহী বাহক এন্টারপ্রাইজের নেতৃত্বে তার সপ্তম নৌবহরের টাস্কফোর্সকে বঙ্গোপসাগরে পাঠানো হয়েছিল। যা ছিল ভুল। না পাকিস্তান না চিন না বাংলাদেশ কারো স্বার্থই আমাদের বিবেচনায় ছিল না। ছিল আমেরিকার স্বার্থ অঅর ভারতকে প্রতিরোধ করা।
তিনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলি নিক্সনের কার্যকালের সম্ভবত সবচেয়ে জটিল সমস্যা ছিল।
আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলার ব্যাপারে ভারতীয় কৌশিক বসু ২০২১সালের ২৫ মার্চ প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে একটি লেখা লিখেন। সেখানে হেনরি কিসিঞ্জারের বিষয়ে জানান তার সাথে ২০১২ সালে কথা হয়েছিল। সেসময় কিসিঞ্জার বাস্কেট কেস বলে যে ভুল করেছিলেন সেটা স্বীকার করেন। কৌশিক বসু বিশ্বব্যাংকের সেসময় প্রধান অর্থনীতিবিদ ছিলেন। কিসিঞ্জার কৌশিক বসুর কাছে স্বীকার করেছিলেন, পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বেশি এগিয়ে যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও। সেসময় কথাটা বলেছিলাম আক্রোশবশত।
আপনার মতামত লিখুন :