শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৫৪ রাত
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমি কেন ভোরে হাঁটি ও ব্যায়াম করি? 

মাশরুর শাকিল

মাশরুর শাকিল: আমি গত ৪ মাস একদিনও বিরতি না দিয়ে ভোরে হাঁটছি। আমি আমার কর্মচিন্তা ও ব্যক্তি জীবনের টেক অফ পিরিয়ড পার করেছি প্রতিদিন ভোরে হেঁটে। ভোর দুর্দান্ত, ভোর আশা জাগানিয়া, ভোর সারাদিনের জন্য সংগ্রামের শক্তি অর্জনের সময়। আমি জীবনের এই পর্যায় পর্যন্ত বারবার টেইক অফ পিরিয়ড পার করতে চেয়েছি। কিন্তু এটা এতটাই নিরবচ্ছিন্নতা চায়। কয়েকদিন বা কয়েকমাস পর আমি ধরে রাখতে পারিনি। এবার আমি পেরেছি। কয়েকদিন আগ পর্যন্তও আমি  রাতে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে যেতাম। এখন ঘুম ভাঙলেও উঠি না। আবার একটু ঘুমাই। তবে যায় ঘটুক সুবহে সাদিক থেকে ৮ পর্যন্ত আমি কখনোই ঘুমাই না।  আসলে ভোরে ব্যায়াম করলে, হাঁটলে কী ঘটে আমি নিজেকে দিয়ে সেই পরীক্ষা চালিয়েছি। আমরা সারারাত ঘুমিয়ে থাকি। আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিশ্রামে থাকে। ভোরে উঠে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করে আমরা যখন হাঁটি তখন আমাদের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয় আমাদের টিসুগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সারাদিনের জন্য শরীর প্রস্তুত হয়ে নেয়। 
একটা স্বাভাবিক শরীর নিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করেন। কয়েকদিন পূর্বে ওমান এম্বাসিতে একটি দাওয়াতে গিয়েছিলাম। দেশ টেলিভিশনের একজন পরিচিত নিউজ প্রেজেন্টারের সঙ্গে দেখা। মেয়েটি দেখতে সুশ্রী, সুন্দর খবর পড়ে। ইদানীং একটি রাজনৈতিক টকশোতে উপস্থাপনা করছে। কিন্তু জীবন নিয়ে হতাশ। এটা কোনো ক্যারিয়ার নয়। আপনারা সাংবাদিকদের একটি ক্যারিয়ার আছে। বাংলাদেশে উপস্থাপক সংবাদ পাঠকদের কোনো ক্যারিয়ার নেইÑ এসব কথাবার্তা। মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভালো বিষয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা। হতাশা কাটাতে সম্প্রতি একটি বিদেশি ম্যাগাজিনে যুক্ত হয়েছে।  এই কারণে সে দূতাবাসের অনুষ্ঠানে। আমি তার সঙ্গে কথাবার্তা বলেই বুঝতে পেরেছি তার হতাশ রোগের রহস্য। আবার তার সঙ্গে কথা হলো। রাত পৌনে তিনটার দিকে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। 
দেখি সে অনলাইনে আছে। আমি তাকে নক দিলাম। আমি তাকে জানালাম যত রাতে ঘুমাই কিংবা ঘুম ভেঙে যাক ভোর ৬ টার পর রমনা পার্কে আমি অবশ্যই হাঁটতে যাবো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ঘুমাবে কখন। সে বললো, কিছুক্ষণের মধ্যে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম ঘুম থেকে জাগেন কখন? সে জানালো প্রায়দিন বেলা ১১ টায়। আমি তাকে ভোরে ফিরতি ক্ষুদে বার্তায় বললাম, বুঝতে পারছেন কেন আপনার হতাশার রোগ। আমি খেয়াল করে দেখেছি, আমরা বেশির ভাগ্য মানুষ হতাশ। কারণ আমরা অলস। আমাদের কোনো কায়িক পরিশ্রম নেই। আমাদের জীবনে আমরা প্রতিদিন নিজেকে ভেঙ্গে গড়ি না। আমরা সাংবাদিকতা করি। সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় শক্তি শব্দ। অথচ আমরা সারাদিন এক পৃষ্ঠাও পড়ি না। মনে করি এসব করতে করতে হয়ে যায়। আমরা নতুন কাজ তৈরি করি না। নিজেকে নিয়ে ভাবি না।
সৃষ্টিশীলতা দিয়ে নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কার্যকর করি না। কী করি। হতাশার চর্চা করি আর সিস্টেমের উপর দোষ দিই। যে ভালো করে সে শুধু তেলবাজি করে সব করছে বলে তার নিন্দাবাদ করে সময় কাটিয়ে হতাশার অন্ধকারে ডুবে থাকি। নিজের দিকে তাকাই না। নিজেকে প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম পড়াশোনার মাধ্যমে নির্মাণ করি না। আমি ভোরে হাঁটি। কারণ ভোর আমাকে পরের সারাদিনের জন্য এতটাই উদ্দীপ্তভাবে তৈরি করে যে আমি অসাধারণ ফলদায়ক একটি দিন পার করে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ি। দিনের শুরুতে বলি আলহামদুলিল্লাহ। দিনের শেষে বলি আলহামদুলিল্লাহ। লেখক: সাংবাদিক। সকাল ১২ টা চ্যানেল আই, ঢাকা। ২৭.১১.২০২৩। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়