শিরোনাম
◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক ◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ◈ ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব, সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ: উপদেষ্টা মাহফুজ

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৪৭ রাত
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৩:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবনে যে যতো না পুষে রাখে সুখ, শান্তি ও স্বস্তি তাদের বাড়ি চেনে, ঘরে ঢোকে না 

আফজাল হোসেন

আফজাল হোসেন: ব্যাংকক শহরের রোদহীন এক দুপুর। মুখ গোমড়া করে আছে আকাশ। অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছি, ট্যাক্সি পাচ্ছি না। অতি ব্যস্ত রাস্তা। অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি যাচ্ছে এবং আসছে। কিন্তু একটিও ভাড়া ট্যাক্সির দেখা মেলে না। যদি অল্পসময়ের মধ্যে ট্যাক্সি না পাওয়া যায় বেশ বিপদে পড়তে হবে। বিপদ বা আশঙ্কা হচ্ছেÑ বৃষ্টি আসছে, ভিজে যেতে হবে। গুমগুম করে ডেকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে মেঘ। একটা ট্যাক্সির দেখা মিললো। হাতের ইশারায় থামে ড্রাইভার। মনে স্বস্তি আসে। ঝটপট কোথায় যেতে চাই বলে ফেলি, ড্রাইভার হাসে এবং হাত তোলে। হাসিটা কেমন যেন, হাত তুলে কি আমাদের ডাকলো, না যাবে না জানালো বুঝতে পারি না। ট্যাক্সিও ভেতরটায় আলো কম। বুঝতে দু’পা সামনে যাই। এগিয়ে যাওয়াতে ড্রাইভার লজ্জিত হয়। লজ্জার হাসিতে অপরাধবোধ। ডাইনে বায়ে মৃদু হাত নাড়ে। বুঝতে পারি, সে যাবে না। 

বিরক্ত হতে পারলাম না বা মনখারাপও হলো না। অনেকক্ষণ হাঁটার পর যাকে পেয়েছি সে যাবে না বলায় বেজায় অখুশি হওয়ারই কথা। মেঘ ডাকছে, বৃষ্টি নামলে ভিঁজে যেতে হবেÑ এসব বিপদ বা ভয় বেড়ে যাবার বদলে মনের মধ্যে দেখি একটুখানি ভালোলাগা জেগে উঠেছে। হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে থাকি, মানুষের আচার ব্যবহার, ভাব ভাষা কতো গুরত্বপূর্ণ। ড্রাইভারের না বলার ধরনে বিনয়, অপরাধবোধ দেখতে পেয়েছি। যেতে পারছে না বলে তাঁকে লজ্জিত কুণ্ঠিত মনে হয়েছেÑ এসবে বিরক্ত হওয়া যায় না, গেলো না মেঘ তখনও ডাকছে। আলো আরও কমেছে। এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে গেলো। বৃষ্টি নেমে যাবে হয়তো সহসাই। সে ভয় হাল্কা হয়ে গেছে বলে আকাশের দিকে আর তাকাচ্ছি না। ভিজে যেতে হবেÑ সে ভয়ে জোরে হাঁটছিলাম, সে গতি কমে গেছে।  একটা মানুষের সামান্য ভালো ব্যবহার, আচরণে কতো কী বদলে যায়। 

হঠাৎই একটা ট্যাক্সি পেয়ে গেলাম। উঠে পড়ি। এই চালকও হেসে বলে, তোমাদের না নিলে তোমরা ভিজে যেতে। বৃষ্টি নেমে গেলো। সে বৃষ্টি উপভোগ্য মনে হতে থাকে। নেতিবাচক-ইতিবাচক বিষয়টা মাথায় ঢোকে। হ্যাঁ এবং না নিয়ে ভাবি। আমাদের জীবনে না মানুষ, না করা মানুষের শেষ নেই। যেকোনো কাজের প্রয়োজনে, ইচ্ছায় হ্যাঁ শোনার সৌভাগ্য হয় খুবই কম। না বা অসম্মতি জানানো হয় রূঢ়ভাবেÑ যেন না শুনে গ্লানি, অপমানবোধে ভুগতে হয়। নেতিবাচক, না করা মানুষেরা মনে করেÑ হ্যাঁ তে দাম কমে, না এ সম্মানবৃদ্ধি হয়। জীবনে যে যতো না পুষে রাখে সুখ, শান্তি ও স্বস্তি তাদের বাড়ি চেনে, ঘরে ঢোকে না। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়