খালিদ খলিল: মূলত হেরে যাওয়ার ভয় থেকে ঈর্ষার জন্ম। পাঁচটা ব্যধির মতো ঈর্ষাও একটি মানসিক ব্যধি। আর হিংসা হলো অন্যের সৌভাগ্যের বিনাশ কামনা করা। ঈর্ষা সুযোগসাপেক্ষ। ঈর্ষার সঙ্গে একধরনের লজ্জাবোধ থাকে, যার ফলে ঈর্ষান্বিত ব্যক্তি নিজেকেও ছোট মনে করেন। অন্যদিকে হিংসার মধ্যে একটা আক্রমণাত্মক ভাব থাকে এবং হিংসা বোধ-বুদ্ধি আচ্ছন্ন করে ফেলে। ঈর্ষা মানুষকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে না, হিংসার ক্ষেত্রে তা সম্ভব। সম্পর্কের নৈকট্য ঈর্ষা নিয়ন্ত্রণ করে না। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব মানসিক গঠনের ওপর। প্রতিটি ব্যক্তিসত্তা আলাদা, বিচ্ছিন্ন একেকটা দ্বীপের মতো, আলাদা চাহিদা যা সম্পর্ক-নিরপেক্ষ, সেখানে যখন আঘাত লাগে তখনই ঈর্ষার উদয় হয়। যে ব্যক্তি সব সময় নিজেকে অন্যের তুলনায় বড় দেখতে চান তার ঈর্ষা বেশি। ঈর্ষা সম্পর্কের ক্ষতি করে। ঈর্ষা যখন হিংসায় পরিণত হয়ে মারমুখী ভাব প্রকাশ করে তখন তা সীমার মাত্রা অতিক্রম করে। যারা হীনমন্যতায় ভুগেন, ঈর্ষান্বিত হন তারা বাস্তবে নিজেকে একঘরে করে ফেলেন। সুতরাং উল্টো ভাবে নিজের দিকে তাকাই, খুঁজে দেখি, তাদের যেটা নেই, হয়তো সেটা আমার আছে।