শিরোনাম
◈ রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই ◈ বেনাপোল বন্দর দিয়ে মাছ রফতানি স্বাভাবিক ◈ ম্যানইউ‌কে কাঁ‌দি‌য়ে ১৭ বছর পর ইউরোপা চ‌্যা‌ম্পিয়ন টটেনহ্যাম ◈ গাজীপুর জেলা বিএনপির সকল ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ◈ কক্সবাজার সৈকতে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়লেন স্বামী-স্ত্রী, এরপর যা হল (ভিডিও) ◈ এক রাতে সাত হাজার নিরীহ মানুষ নিধন! পাক সেনাপ্রধান টিক্কা খানকে  বাংলাদেশের কসাই নামে ডাকা হ‌তো ◈ সি‌রিজ হা‌রের পর লিটন দাস বল‌লেন, আমাদের আরও শিখতে হবে ◈ ‘নাম লেখালেই নম্বর’ যুগ শেষ : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকোর্সে নম্বর পেতে বাধ্যতামূলক ৬০% উপস্থিতি ◈ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে কারখানা ছুটি দেয়াসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ◈ জুনে রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ০৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহা-রাজনৈতিক সংকটের মদ্যে পড়তে যাচ্ছে এশিয়া!

প্রবির বিকাশ সরকার

প্রবির বিকাশ সরকার: এশিয়া মহাদেশ অদূর ভবিষ্যতে এক মহা রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। মূল কারণ নেতৃত্ব সঙ্কট। আধুনিককালে এশিয়ায় প্রথম রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারতে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ক্ষমতা দখল করে নেয়। পরিকল্পিতভাবে ভারতের আফিমকে অর্থনৈতিক লাভজনক ব্যবসার এক নম্বর এজেন্ডা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে চিনের হংকং দ্বীপ কেড়ে নিলো, আর অমনি জাপানি সামুরাই শাসকরা প্রমাদগোনা শুরু করলেন। ইতোমধ্যে পুরো এশিয়া মহাদেশের দুটি রাষ্ট্র নিপ্পন ও শ্যাম ছাড়া পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে পর্তুগাল, স্পেইন, ওলন্দাজ, ফরাসি এবং ব্রিটিশের উপনিবেশে পরিণত হয়ে গেছে। নিপ্পন/জাপান তখনো স্বাধীন, কারণ প্রশান্ত মহাসাগরে সামুরাইদের শক্ত অবস্থান, সমুদ্রদ্বারা রিমোট এবং ‘নিষিদ্ধ’ একটি দেশ, আর শ্যাম দরিদ্র একটি অঞ্চল, তার কোনোকিছুই নেই। 

অনুমান অনুযায়ী আমেরিকার বহু পুরনো পরিকল্পনা জাপান দখলে তৎপরতা প্রকাশ্যরূপ নিলো নৌসেনাপতি ম্যাথু পেরির কালো যুদ্ধ জাহাজ যখন প্রথম জাপানের উরাগা সমুদ্রতীরে এলো এবং শাসিয়ে গেলো, জাপান যদি উন্মুক্ত না হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার এসে জোর করে উন্মুক্ত করবে। লোহার বিশাল জাহাজ জলে ভাসে। শক্তিশালী সামুরাইরা বিস্ময়ে চোখে হলুদ রঙের লাফালাফি দেখলেন। এরপর অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কটে পতিত হলো জাপান তার মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তথা সামুরাই ও সম্রাটীয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটতে লাগলো। ওদিকে আমেরিকা মুচকি হাসছে ফিনফিনে কালো পর্দার আড়ালে। আমেরিকা মানে বিশ্বপুঁজিপতি অধিকাংশ ইহুদি এবং কতিপয় খ্রিস্টান। বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্বরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ যাদের মূল লক্ষ্য এবং পেশা। স্মরণে রাখতে হবে, ভারত দখলে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডিজরেইলি, তিনি ইহুদি। কৌশলে প্রচুর অর্থ ঋণ দিয়ে রাজপরিবারকে কব্জা করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বাকিটা বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস। 
অত্যন্ত মেধাবী সামুরাই যোদ্ধা কাৎসু কাইশুর মধ্যস্থতায় মেইজি পুনরুদ্ধারের ঘটনা ঘটলো ১৮৬৮ সালে। সম্রাট রাজ ক্ষমতা ফিরে পেলেন এবং আমেরিকার সঙ্গে বিনারক্তপাতে সমঝোতা হলো। উন্মুক্ত হলো জাপান। ব্রিটিশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেইন, ইতালি প্রভৃতি দেশের দূতাবাস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হলো টোকিওতে। জাপানিদের নাক খুব স্নায়ুশক্তিসম্পন্ন এবং দূরদৃষ্টি প্রখর। তারা বুঝতে পারলেন আমেরিকা তথা ইহুদি পুঁজিপতিদের জাপানকে লক্ষ্য করার কারণ শুধু ব্যবসা নয়, সোভিয়েত রাশিয়ায় লক্ষ-কোটি ইহুদি কৃষক, শ্রমিক ও কারিগর সম্রাট জারের দ্বারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত তাদের উদ্ধার করা। যাদের উদ্ধার করতে ইতিমধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছেন লেলিন। লেলিন ইহুদি। 

আমেরিকার মূল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি ইহুদিদের পরিকল্পনা রাশিয়া থেকে ইহুদিদের জাপান দিয়ে আমেরিকায় অভিবাসিত করা। জাপানকে রাজি হতে হলো। এই ঘটনায় রাশিয়া জাপানকে দখলের চিন্তা করতে লাগলো। যার ফলে দ্রুত জাপানকে অর্থ, অস্ত্রবলে বলীয়ান না হলে নয়। চললো পাশ্চাত্য শক্তির সাহায্যে সামরিক শক্তি অর্জন এবং সমকক্ষ হওয়া। যে কোনো সময় রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে জাপান। এটা আমেরিকাও জানে। তাই সমস্যা দেখা দিলো দুটি: বিপুল অর্থ সংগ্রহ এবং সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দখলে নেয়া, উন্নত করা এবং ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি করা। এর বাইরে কোনো আর কোনো পথ খোলা নেই। সেই মোতাবেক প্রথমেই চিনের অন্তর্ভূক্ত আলাদা রাজ্য শিনকোকু তথা মাঞ্চুরিয়া দখলে নিলো যুদ্ধ করে। মাঞ্চুরিয়া খুবই উর্বর জমি এবং প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। যার দখল নিয়ে অনেক আগে থেকেই ব্রিটিশ, জার্মানি, ফরাসি ও রুশদের দ্বন্দ্বযুদ্ধ চলছে। জাপান এদের হটিয়ে দিয়ে মাঞ্চুরিয়া দখল করে নিলো। কিন্তু তাতে করে পরাক্রমশালী রাশিয়ার মুখোমুখি হয়ে পড়লো জাপান। একে আটকাতে হবে। কীভাবে? লেখক ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়