জসিম মল্লিক: [১] আমাদের সমাজে বিয়ে ভেঙে যাওয়া বা ভেঙে ফেলা এখন আর কোনো লজ্জার বিষয় নয়। ঢাকাতেই প্রতি চল্লিশ মিনিটে একটি ডিভোর্সের নোটিশ জমা পড়ছে। শুধু ঢাকায়ই নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এই হার প্রতিদিন বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে। নগরজীবনের চাপ, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ, আর্থিক ফ্রিডম, জৈবিক চাহিদা পূরণ না হওয়া ইত্যাদি বিষয় দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। নারীরা সংসারে নিজের মর্যাদা না পেয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। স্বামী-স্ত্রীর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও বড় হয়ে উঠছে।
[২] পাশ্চাত্য সমাজে বিয়ে বিচ্ছেদ একটি সাধারণ ঘটনা। এজন্য অনেকেই দীর্ঘদিন কমন ল’ পার্টনার হিসাবে থাকে। তরুণরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেও দেরি করে। অনেকে বিয়েই করতে চায় না। পক্ষান্তরে অনেকে লোকলজ্জার ভয়, সন্তানের কথা ভেবে সংসার ভাঙতে ভয় পায়। দু’জন সম্পূর্ণ বিপরীত চারিত্র্যিক বৈশিষ্টের হয়েও দীর্ঘ সংসার করে যায়। অনেকেই জানে না সংসার কীভাবে ভাঙতে হয়। শুধু বোঝাপড়া, বিশ্বাস, সেক্রিফাইস এবং ভালোবাসা সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে।
[৩] প্রেম করে বা পরিবারের সিদ্ধান্তে, যেভাবেই বিয়ে হোক, সতর্কভাবে সঙ্গী নির্বাচন করা দরকার। সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির মিলও থাকতে হয়। এর বাইরেও অনেক অজানা কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে। বিচ্ছেদ হওয়ার পরও অনেকে আবার চমৎকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখছে। দু’জন দুই ঘরে থাকার চেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। ট্রুডোর ঘটনাও হয়তো তেমনি। কিন্তু মানুষটা ট্রুডো বলেই তাদের নিয়ে এতো চর্চা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্তানই সব। টরন্টো ৩ আগস্ট ২০২৩। ফেসবুক থেকে