শিরোনাম
◈ উই আর ভেরি হ্যাপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যাত্রাবাড়ীতে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্র আহত ◈ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু ◈ ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকাটা খুব বড় নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ◈ বৈশ্বিক সংকট কাটাতে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার: প্রধানমন্ত্রী ◈ ভিসা নিষেধজ্ঞা কার্যকর সরকারের ওপরে আন্তর্জাতিক মহলের অনাস্থার প্রতিফলন : শামা ওবায়েদ ◈ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের ওপর আজ থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ◈ ‘বেশি কিছু চাইনি, সরকারকে পদত্যাগ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি মাত্র’ ◈ মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবি মির্জা ফখরুলের ◈ রোহিঙ্গাদের জন্য আরো ১১ কোটি ৬০ লাখ  ডলারের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৩, ১২:৫০ রাত
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৩, ১২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকার পাওয়ার পলিটিক্স নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের মীমাংসা কতোদূর?

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: প্রথম আলো একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন ছেপেছে ঢাকার পাওয়ার পলিটিক্স নিয়ে দিল্লির মনোভাব কী তা বোঝাতে। প্রতিবেদক সৌম্য বন্দোপাধ্যায় ভারতীয় থিকট্যাঙ্ক ও সাবেক কয়েকজন কূটনীতিককে উদ্ধৃত করেছেন। কথা বলেছেন, দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও। এর মধ্যে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন দেশটির সেনাপ্রধান। ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে কথা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের। ভারতীয় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। যদিও সফরের আগেরদিন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছিল, তাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের উল্লেখ নেই। 

ঢাকার আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের তৎপরতা বেড়েছে। তার বাসায় আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিবকে। ঘড়ির কাঁটায় এক ঘণ্টা সেখানে ছিলেন মির্জা ফখরুল। ওদিকে সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপিকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিষয়ে চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে দিল্লি? ভারতীয় পত্রপত্রিকার বিশ্লেষণ বলছে, দিল্লির চুপ থাকাটা তার মিত্র আমেরিকার কাম্য নয়। ভারতীয় মিডিয়া বলছে, দিল্লির অবস্থান ট্রিকি। শেখ হাসিনা ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু। শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তাগত সমস্যা তৈরি হয়নি। মুখে যাই বলুক, ভারতের পছন্দ শেখ হাসিনা। 

ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও শেখ হাসিনার সঙ্গেই কাজ করতে স্বচ্ছন্দ। এই এক জায়গায় ভারত ও চীনের অবস্থান অভিন্ন। একথাও পরিষ্কার যে, আমেরিকা শেখ হাসিনা রেজিমের বদল চায়। ওদিকে মধ্যপ্রাচ্যের জর্ডানভিত্তিক আমেরিকাপন্থী নিউজ নেটওয়ার্ক আল বাওয়াবা দেখলাম, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে রিপোর্ট ছেপেছে। বাংলাদেশের পাওয়ার পলিটিক্স নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের মীমাংসার পরই কেবল কী হতে যাচ্ছেÑএমন প্রশ্নের উত্তর আঁচ করা যাবে। তার আগে যা শুনবেন, সবই গুজব।
 লেখক: সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়