অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম: [১] এটি প্রায় ৭ হাজার বছর আগেকার সভ্যতা। [২] সাড়ে ৬ হাজার বছর পূর্বে দুই মিসর একত্রিত হয়, মিনেস কর্তৃক। [৩] প্রথম দিকে ফারাও রাজারা কোনো সেনাবাহিনী রাখতো না। তবে পরে হিককস বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে সেনাবাহিনী রাখা শুরু হয়। [৪] পৃথিবীর প্রথম ক্যালেন্ডার মিশরীয়দের, ৬ হাজার বছরের ও পূর্বে। [৫] পৃথিবীর প্রথম নারী শাসক ছিলেন মিসরীয়, ফারাও প্রথম থাটমোসের মেয়ে হাটশিপুট/হাটাসু মিসরের সিংহাসনে আরোহন করেন ১৫২০ খ্রীস্টপূর্বে (সাড়ে ৩ হাজার বছর পূর্বে)।
[৬] পৃথিবীর প্রথম ‘একেশ্বরবাদ’ প্রচারিত হয় মিসরে (যদিও স্বল্পকালের জন্য)। রাজা চতুর্থ আমেনহোটেপ ৩ হাজার ৩শত ৭৫ বছর আগে ক্ষমতায় বসেন। তিনি প্রচলিত ধর্ম প্রথা বাতিল করে পুরোহিতদের দৌরাত্ম কমিয়ে আনেন। মন্দির থেকে পুরোহিতদের বের করে দেন ও ‘এটন’ নামে নতুন দেবতাকে পূজা করতে নির্দেশ দেন। এটনকে একমাত্র দেবতা ঘোষণা করেন এবং নিজের নামও রাখেন ‘ইখনাটন’। এর ৬০০ বছর পর হিব্রুরা প্রকৃত ‘একেশ্বরবাদ’ নিয়ে আছেন। কিন্তু পরবর্তী ফারাওরা পুরনো পথে ফিরে যান।
[৭] কালো কালি তৈরি করেন, নরম কার্বন, আঠা আর পানি মিশিয়ে। [৮] আধুনিক ইংরেজি বর্নমালা যেভাবে এলো: মিসরীয় লেখা অনুসরণ করতে গিয়ে ফিনিশিয়রা ইংরেজি ভাষার ২২ টি বর্ণ উদ্ভাবন করেন। পরে গ্রীকরা। e, i, o, u- এই চারটি বর্ন যোগ করে আধুনিক ইংরেজি বর্নমালা তৈরি করেন। [৯] প্রথম পাটিগণিত ও জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তারা যোগ, বিয়োগ ও ভাগ করতে জানতো। তবে গুণ পদ্ধতি জানতো না। লেখক: মনোবিদ