শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১০ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামগ্রিক অধঃপতনের তো মাত্র শুরু, সামনে অপেক্ষা করছে মহাপতন 

স্বকৃত নোমান

স্বকৃত নোমান: এক ছেলে ফেসবুকে লিখেছে, ‘মামুনুর রশীদের অবদান কী? সে রুচি তৈরির জন্য কী করেছে? রুচি নিয়ে কথা বলার সে কে’? এখনো ওই ছেলের দাড়ি-গোঁফও ঠিকমতো গজায়নি। ছেলেটি জানে না সিনিয়রদের যে ‘তিনি’ সম্মোধন করতে হয়। সে জানে না মামুনুর রশীদ কে। জানে না কী তাঁর অবদান। জানে না ‘আরণ্যক’ কার প্রতিষ্ঠিত নাট্যসংগঠন। জানে না এই সংগঠন কোন কোন যশস্বী অভিনেতার জন্ম দিয়েছে। জানে না কাদের হাতে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এদেশের মঞ্চ নাটক, টিভি নাটক আর সিনেমা বিকশিত হয়েছে। সে মামুনুর রশীদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রবাদ, ‘ছাল নাই কুত্তার বাঘা ফাল’। 

ফেসবুক এক খরস্রোতা নদী। এই নদীতে বিশুদ্ধ জল যেমন আছে, সুস্বাদু মাছ যেমন আছে, তেমনি আছে আবর্জনাও, তেমনি আছে জলধোড়া, তেমনি আছে কেঁচো-কীটও। এই নদীতে যে কেউ ইচ্ছে করলেই ঢিল ছুঁড়তে পারে, যে কেউ চাইলেই মল ত্যাগ করতে পারে, যে কেউ চাইলেই নৌকা ভাসিয়ে দিতে পারে, যে কেউ বড়শি নিয়ে মাছ শিকার করতে পারে। ফেসবুকে যে কেউ যে কাউকে একটা গালি দিয়ে বসতে পারে। যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে দুর্নাম রটিয়ে দিতে পারে।

আমাদের রুচির, আমাদের শিক্ষার, আমাদের সংস্কৃতির যে সর্বনাশ ঘটে গেছে, সেটা শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদ দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন। তিনি কী বলতে চাইলেন, আর অধঃপতিত রুচির লোকজন বুঝল কী। তাঁর বক্তব্যে তারা শ্রেণিবৈষম্য খুঁজে বের করলো। তাঁর বক্তব্যে তারা হিংসা খুঁজে বের করল, ঈর্ষা খুঁজে বের করলো। কেউ কেউ আবার মার্কস-দেরিদা-ফুকো-গ্রামসির তত্ত্ব দিয়ে তার বক্তব্য খারিজ করে দিলো।

তাদের একেকজন কী মহান শিক্ষিত। একেকজন কত বড় তাত্ত্বিক। কেউ কেউ আবার মামুনুর রশীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও টানাহেঁচড়া শুরু করলো। তারা জানে না আরণ্যকের নাট্যকর্মীদের কাছে মামুনুর রশীদ কী। জানে না আরণ্যকের ছেলেমেয়েরা পিতার বয়সী এই মহীরুহের বুককে কতটা নিরাপদ মনে করে। জানে না চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, তমালিকা কর্মকার প্রমুখ অভিনয়শিল্পীরা মামুনুর রশীদকে শ্রদ্ধার কোন আসনটি দিয়ে রেখেছেন।
সামগ্রিক অধঃপতনের তো মাত্র শুরু, সামনে অপেক্ষা করছে মহাপতন। লেখক: কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়