শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১০ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামগ্রিক অধঃপতনের তো মাত্র শুরু, সামনে অপেক্ষা করছে মহাপতন 

স্বকৃত নোমান

স্বকৃত নোমান: এক ছেলে ফেসবুকে লিখেছে, ‘মামুনুর রশীদের অবদান কী? সে রুচি তৈরির জন্য কী করেছে? রুচি নিয়ে কথা বলার সে কে’? এখনো ওই ছেলের দাড়ি-গোঁফও ঠিকমতো গজায়নি। ছেলেটি জানে না সিনিয়রদের যে ‘তিনি’ সম্মোধন করতে হয়। সে জানে না মামুনুর রশীদ কে। জানে না কী তাঁর অবদান। জানে না ‘আরণ্যক’ কার প্রতিষ্ঠিত নাট্যসংগঠন। জানে না এই সংগঠন কোন কোন যশস্বী অভিনেতার জন্ম দিয়েছে। জানে না কাদের হাতে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এদেশের মঞ্চ নাটক, টিভি নাটক আর সিনেমা বিকশিত হয়েছে। সে মামুনুর রশীদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রবাদ, ‘ছাল নাই কুত্তার বাঘা ফাল’। 

ফেসবুক এক খরস্রোতা নদী। এই নদীতে বিশুদ্ধ জল যেমন আছে, সুস্বাদু মাছ যেমন আছে, তেমনি আছে আবর্জনাও, তেমনি আছে জলধোড়া, তেমনি আছে কেঁচো-কীটও। এই নদীতে যে কেউ ইচ্ছে করলেই ঢিল ছুঁড়তে পারে, যে কেউ চাইলেই মল ত্যাগ করতে পারে, যে কেউ চাইলেই নৌকা ভাসিয়ে দিতে পারে, যে কেউ বড়শি নিয়ে মাছ শিকার করতে পারে। ফেসবুকে যে কেউ যে কাউকে একটা গালি দিয়ে বসতে পারে। যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে দুর্নাম রটিয়ে দিতে পারে।

আমাদের রুচির, আমাদের শিক্ষার, আমাদের সংস্কৃতির যে সর্বনাশ ঘটে গেছে, সেটা শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদ দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন। তিনি কী বলতে চাইলেন, আর অধঃপতিত রুচির লোকজন বুঝল কী। তাঁর বক্তব্যে তারা শ্রেণিবৈষম্য খুঁজে বের করলো। তাঁর বক্তব্যে তারা হিংসা খুঁজে বের করল, ঈর্ষা খুঁজে বের করলো। কেউ কেউ আবার মার্কস-দেরিদা-ফুকো-গ্রামসির তত্ত্ব দিয়ে তার বক্তব্য খারিজ করে দিলো।

তাদের একেকজন কী মহান শিক্ষিত। একেকজন কত বড় তাত্ত্বিক। কেউ কেউ আবার মামুনুর রশীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও টানাহেঁচড়া শুরু করলো। তারা জানে না আরণ্যকের নাট্যকর্মীদের কাছে মামুনুর রশীদ কী। জানে না আরণ্যকের ছেলেমেয়েরা পিতার বয়সী এই মহীরুহের বুককে কতটা নিরাপদ মনে করে। জানে না চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, তমালিকা কর্মকার প্রমুখ অভিনয়শিল্পীরা মামুনুর রশীদকে শ্রদ্ধার কোন আসনটি দিয়ে রেখেছেন।
সামগ্রিক অধঃপতনের তো মাত্র শুরু, সামনে অপেক্ষা করছে মহাপতন। লেখক: কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়