শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১২:২১ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১২:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বর্ণের দামের এতো উত্থান-পতন, কারণ কী?

দিলীপ দত্ত

দিলীপ দত্ত: বিশ্বে যখন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায় তখন মুদ্রার মান কমে যায়। যার ফলে মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। সুদের হারের সঙ্গে সোনার দাম বৃদ্ধির একটা সম্পর্র্ক রয়েছে। সুদের হার যখন কমে যায়, আমানতের উপর রিটার্ন পায় না, তখন মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। এমন নানান কারণে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতি কয়েকদিন স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে প্রায়ই, তবে এটি অস্বাভাবিক নয়। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তালমিলিয়ে এমনটা হচ্ছে। 

আন্তর্জাতিক বাজারে দর ছিলো ১৮১২ ডলার, হুট করেই এটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৭ ডলার হলো। এমন ভাবেই আমাদের বাজারেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর আন্তর্জাতিক বাজারে যখন ২০০৭ ডলার হতে কমে ১৯৬৫ ডলারে নামলো তখন আমাদের বাজারেও এক হাজার টাকারও বেশি দাম হ্রাস পেয়েছে। সুতারাং এই দাম ওঠা-নামার বিষয়টা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে। তাছাড়া এখন রমজান মাস চলার কারণে স্বর্ণের বিক্রয় অনেকটা কম। রমজানের শেষের দিকে বিক্রয় কিছুটা বৃদ্ধি পাবে, যার কারলে আশা করা যায় স্বর্ণের দাম আগামী কয়েকদিনে আর বৃদ্ধি পাবে না। বরং দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে ইদের সময়। ভরিতে ১ হাজার টাকা কমেছে, এভাবে যদি কমতে থাকে তাহলে ব্যবসায়ী-ক্রেতা সকলের জন্যই সুবিধা হবে। কারণ দাম করলে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।
 
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, কিছু সোনা তো আমাদের কম দর সময়ে স্টক করা, ওগুলো এখন কেন কম দামে বিক্রয় করছি না? দেখুন আমাদের দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ ডিসপ্লেতে রাখতে হয় সবসময়ই। যে কারণে আগে স্টক করা স্বর্ণগুলো এখন কম দামে বিক্রয় করে দিলে নতুন করে আবার বেশি দামে স্বর্ণ কিনে ডিসপ্লে করতে হবে। যে কারণে সুযোগ থাকে না আগে ক্রয় করা স্বর্ণ থাকলেও তা আগের দামে বিক্রয় করা। অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পেলে ক্রেতার সংখ্যা কমে যায়, অনেকাংশে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই ক্রেতার সংখ্যা কমে গেলে লোকসানটা ব্যবসায়ীদেরই হয়ে থাকে। 

পরিস্থিতি : ব্যবস্থাপক, শ্রীজা গোল্ড প্যালেস প্রা. লিমিটেড। অনুলিখন : খসরুল আলম। সূত্র : একাত্তর সকাল, একাত্তর টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়