শিরোনাম
◈ ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: এখনো মেলেনি ১০১ মরদেহের পরিচয় ◈ জামায়াতের বনানী থানার আমিরসহ আটক ১০ ◈ দেশের বাইরে থাকলেও আমি রাজনীতিতেই আছি ◈ বিদেশি এয়ারলাইন্সের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ◈ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় করা ◈ জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আওয়ামী লীগ: আমু ◈ ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপির মনোভাব জানতে চাইলেন পিটার হাস  ◈ ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন নিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস  ◈ বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী ◈ বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানের কর্মী ২ দিনের রিমান্ডে  

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২৩, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কী দিয়ে ইফতার করতেন, ধারণা আছে কি আপনার?

অমি রহমান পিয়াল

অমি রহমান পিয়াল: আমাদের মহানবী কি দিয়া ইফতার করতেন ধারণা আছে? তিনি কি পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী আর ছোলাভাজা মুড়ি দিয়া মাখায়া খাইছেন কখনো? জিলাপি? হালিম? সিম্পল একটা রুটি, কয়েকটা খেজুর দিয়া উনি রোজা ভাঙ্গতেন। এটা এই কারণে যে এসবই ছিলো তার জন্য সহজলভ্য এবং সুলভ খাবার। রোজা আসলে আরবের কেউ খেজুরের দাম, গম কিংবা যবের দাম বাড়ায়া দিতো না। ইনফ্যাক্ট বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও এই সিস্টেম নাই। আমি যেই ক্যান্টনে থাকি সেইখানে মুসলিম হোটেলগুলায় ইফতার ফ্রি। মুরগির রোস্ট, গরু ভুনা ইত্যাদিসহ বিশাল আয়োজন। মাগ না। খাইতে আপনার মুসলমানও হইতে হবে না, রোজাও রাখতে হবে না। গোটা রমজান মাস মুসলমান দোকানগুলায় কমদামে জিনিস বিক্রি করে। ঈদের তিনদিন আগে থেকে মাংসের দাম ৫০ পারসেন্ট কম রাখে। এইটারেই তারা মুসলমানদের জন্য সেবা বইলা মনে করে। সারাবছর তারা ব্যবসা করে, এই একটা মাস ছাড় দেয়।

আর আমাদের ৯৭ পারসেন্ট মুসলমানের দেশে পুরাই উল্টা। রোজাদারের কষ্টে মারার জন্য এইটাই তারা উত্তম মাস বিবেচনা করে। কী করবো, মাদ্রাসার হুজুররাই তো শিখাইছেন, মুসলমানের... মারার থেকে সওয়াবের কাম কিছু নাই। তো পিয়াজ, আলু, বেগুন, ছোলা, খেজুর নরমালের চেয়ে ডাবল ট্রিপল দাম। মাংস ধরা ছোয়ার বাইরে। সারাবছরের কামাই এই এক মাসেই। অথচ রমজানে এইসব খাওয়া কি আসলেই জরুরি? রোজা মানে দৈহিক ও মানসিক সংযম। এর মধ্যে আহার ও পান অন্যতম। আল্লাহ খুব সিম্পল একটা নিয়ম করে দিছেন। তোমরা সকালের ব্রেকফাস্টটা ফজরের আগে খেয়ে ফেলবা, দুপুরের খাবারটা খাবা সন্ধ্যায়। এই তো। কঠিন কিছু? এখন আপনে দুপুরে কি পিয়াজু বেগুনী ছোলাবুট আর মুড়িমাখা খান? জিলাপী খান? হালিম খান? তাইলে? আপনি তাই খাবেন যেটা আপনার নিত্যকার আহার। সবসময় যা খান তা। 

এসব বাদ দেন। নরমাল থাকেন। আপনে এতদিন পি মারা খাইছেন, এইবার উল্টা দেন। চড়া দামে কিনবেন না এইসব। খাবেন না। বয়কট করেন। বেচতে না পাইরা দেখবেন অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হবে এসব মহাজন। আপনার ইমোশনকে জিম্মি কইরা ফায়দা লুটাদের কষ্ট দেওয়ার এটাই সর্বোত্তম পন্থা। আমি খালি ভাবি একটা জিনিস। আপনারা অনেক কন দাড়ি রাখা সুন্নত। বেশি কইরা বিয়া করা সুন্নত। কিন্তু ইফতারির বেলায় আপনারা কেন বারের মেনু পছন্দ করেন। এইসব ভাজাপোড়া তো মানুষ হুইস্কি আর ভদকার লগে খায়। আপনারা সারাদিন ধর্ম কইরা মাতালের খাবার কেন খান? আস্তাগফিরুল্লাহ। মুনাফিক হইয়েন না...। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়