শওগাত আলী সাগর: নায়িকাকে মাহিকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশ যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠলো, আরাভ খানের ঘটনায় যে সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলা হচ্ছে, তাকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে পুলিশের সেই উৎসাহ এবং কর্তব্যনিষ্ঠাটা কোথায়। এটিই তো বরং পুলিশের বড় কাজ হওয়ার কথা। মাহির অপরাধ কী? পুলিশের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ফেসবুক লাইভে। সে কারণেই বিদেশফেরত মাহিকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠাতে হবে। দেশের আইন, বিচার কি এইরকমই। তিনি যে অভিযোগ তুললেন, কেন তুললেন, সেই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে কোনো তদন্ত হবে না।
বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে কয়েক ঘণ্টার জন্য মাহিকে জেলে পাঠিয়ে পুলিশ তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। কিন্তু একজন নাগরিকের, একজন নারীর প্রতিকারের কি কোনো জায়গা নেই, রাষ্ট্র কি সেই ব্যবস্থা রাখবে না। মাহি যে অভিযোগ তুলেছেন, সেই পুলিশ কমিশনারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো তদন্ত হবে না। মাহিকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কিনাÑতার অনুসন্ধান হবে না। একটি সভ্য দেশে, সভ্যশাসন ব্যবস্থায় তো এইসব চাইতে হয় না। লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক