আশিক নূরী: [১] আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক। বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পি চার শতাদিক চলচ্চিত্রে খল ও কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের।
[২] এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ছিল লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি। তাঁর পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং রাজনীতিক ব্যাক্তিত্ব। শামসুজ্জামান ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।
[৩] এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নয়া জিন্দগানী’। তিনি ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন। এছাড়াও খল চরিত্রে তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’।
[৪] এটিএম শামসুজ্জামান ২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির ‘এবাদত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি রেদওয়ান রনির পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র চোরাবালি-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মোট ছয় বার এবং শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। এটিএম শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মারা যান।