আবুল হাসনাৎ মিল্টন: পৃথিবীর অনেক দেশেই স্কুলে সেক্স এডুকেশন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে স্কুলে সেক্স এডডুকেশন প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনি সেক্স এডুকেশন দেবেন, কিন্তু যৌন অনুভূতির কথা বলতে পারবেন না? নিরাপদ যৌনতার কথা বলতে পারবেন না? পত্রিকা একটা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম করলো, আর আমরা অমনি ঝাপিয়ে পড়লাম। ভন্ডামি বাদ দিন। সেক্স এডুকেশন প্রদানের উদ্যোগ নিলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রদান করতে হবে। আর যদি মনে করেন এসবের দরকার নেই, তাইলে ভিন্ন কথা। কৈশোরে মানসিক স্ট্রেস নিয়ে হস্তমৈথুন করবে, নীলক্ষেতের মোড় থেকে রসময় গুপ্তের লেখা চটি পড়ে বিকৃত যৌনধারণা নিয়ে বড় হবে। বন্ধুদের সাথে গোপনে যৌনকর্মীর কাছে যাবে। বড়দের যৌন লালসার শিকার হবে। সমাজে এসবই ঘটবে কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলা যাবে না, তাই না?