দেবদুলাল মুন্না: [১] ইসলামি স্কলারের নাম আল-জাহিজ। আসল নাম, আবু উসমান আমর বাহার আলকানানি আল-বাসরি। জন্ম ইরাকের বসরায়। বয়স যখন চল্লিশ তখন তিনি এক পাহাড়ে হাঁটছিলেন আর ভাবছিলেন আদম থেকে তিনি যে এই দুনিয়ায় এলেন এটা কীভাবে? রাতে বাসায় ফিরে মনে হলো, আদম তো প্রেমিক ছিলেন। না হলে এতো বান্দা কীভাবে জন্ম নিতো?
[২] এর ছয় মাসের ভেতর তিনি কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। মুতাজিলাহ আন্দোলনের সময়। সময় ৮১২ সালে। এরপর তিনি বই লেখেন, নাম ‘আল-হায়ওয়ান’। পরে ইংরেজিতে অনুদিত হয়। নাম, ‘দ্য বুক অফ অ্যানিমেলস’ সাত খন্ড। গুগলে খোঁজ নিলে পাবেন। পিডিএফ আকারে। সেই বইয়ে তিনি বললেন, প্রাণিরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ন্যাচারাল সিলেকশন পদ্ধতিতে। ফলে তার পরিণতি ভালো হলো না। দেশ ছাড়া করা হলো। যদিও তিনি নিজেকে খাটি মুসলমান ভাবতেন। বুড়া বয়সে পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে বাসায় ফেরার পর মাথার ওপর বই পড়ে মারা গেলেন।
[৩] এরপর ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। অন দ্য অরিজিন অফ স্পেসিস বইতেও অভিযোজনের ফলে এক প্রাণির ভিন্ন প্রাণিতে চেঞ্জের কথা বলেন। [৪] ডারউইনেরও পরিণতি ভালো হয়নি। তাকেও নির্বাসিত হতে হয়েছিলো এবং বইয়ের র্যাক থেকে একটা বই খুঁজতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নিলে তিনদিন পর মারা যান। [৫] আল-জাহিজ তাঁর বইতে যা যা বলেছিলেন সেসবই ডারউইনে সুচারুভাবে আছে। প্রশ্ন এতো চিন্তারও মারা যাওয়ায় মিল কীভাবে হলো দু’জনের? [৬] নোয়াহ হারিরি। সাপিয়েন্সের লেখক। আমাদের দেশে তাঁর বই ব্যাপক জনপ্রিয়। এ বই বহুল পঠিত। তিনিও তাদের পথেই হেঁটেছেন। [৭] বিবর্তনবাদ কি খারাপ কিছু? লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক