শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুনাফা তুলতে থাকবে বিএনপি!

আব্দুল হাই সঞ্জু

আব্দুল হাই সঞ্জু: [২] হজ্ব মৌসুমে বাংলাদেশের হজ্ব এজেন্সি আর রোজার মৌসুমে মুদির দোকানিদের মতো আওয়ামী লীগ মনে করে ডিসেম্বর তাদেরই রাজনৈতিক মুনাফা ঘরে তোলার মাস। কিন্তু মহামারির বছর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক বছর যাবৎ মুনাফা ঘরে তুলতে পারছে না আওয়ামী লীগ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মুনাফা তুলেছে সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনকারীরা। আর এ বছরের ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত মুনাফা তুলতে থাকবে বিএনপি। ১০ তারিখের পরে বোঝা যাবে, মাসের বাকি সময়ের মুনাফা কার ঘরে যায়।

শাহবাগে চেতনার যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই জোয়ারের পানি বিভিন্ন নালা-নর্দমায় প্রবাহিত করে আওয়ামী লীগ অনেক মুনাফা করেছে। এখন সেই জোয়ারে ভাটা পড়েছে। নতুন জোয়ার দেখতে হলে আওয়ামী লীগকে অন্তত এক মেয়াদে ক্ষমতা থেকে ছুটি নিতে হবে। কারণ, চলতি মেয়াদে সেই জোয়ার আর ফিরবে না

[৩] গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তালিকায় আছেন এক রিটার্নিং, এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২৬ প্রিসাইডিং, ৫ পুলিশ কর্মকর্তা। প্রশ্ন: এতো কম সংখ্যক রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তি পাচ্ছেন কেন? উত্তর: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এদের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। এদের সিসিটিভির আওতায় পায়নি ইসি। এজন্য প্রমাণও পায়নি। প্রশ্ন: ১২৬ প্রিসাইডিং কেন? এদের সংখ্যা এতো বেশি কেন? উত্তর: ইসির তদন্ত ভোট কেন্দ্রের তৎপরতার ওপর করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের বাইরের ষড়যন্ত্র ইসি খুঁজে পাবে না। যেহেতু প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট কেন্দ্রে ছিলেন এবং তাদের তৎপরতা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, সে কারণে বেশি সংখ্যক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রশ্ন: মাত্র ৫ পুলিশ কর্মকর্তা কেন? 

উত্তর: কারণ পুলিশ সিসি ক্যামেরার নীচে দাঁড়িয়ে খারাপ কাজ করে না। তারপরও ৫ পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া যাওয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূতের কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। একটা নির্বাচনী এলাকার অর্ধেক সংখ্যক ভোট কেন্দ্রে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে ৩০০ আসনে ৩০০ গুন ১০ = ৩০০০ পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া যাবে। শুধু কর্মকর্তাই যদি ৩০০০ হয়, তাহলে কন্সটেবল কতো হতে পারে? একটি উপনির্বাচনের মাত্র ৫১টি ভোট কেন্দ্রের ঘটনাপ্রবাহের ভিত্তিতে ইসি এই ব্যবস্থা নিয়েছে। মোট ভোট কেন্দ্র ১০০-এর বেশি। 

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রার্থী, ডিসি ও এসপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। কারণ তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যাননি, তারা বাইরে দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্তব্য: অর্থাৎ, ভোট কারচুপির মুল পরিকল্পনা যেখানে হয়, সেখানে কখনও ইসি পৌঁছাতে পারবে না। ফলে ইসির পক্ষে প্রার্থী, ডিসি ও এসপিদের দোষী সাব্যস্ত করাও সম্ভব হবে না। ফেসবুক থেকে  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়