ফড়িং ক্যামেলিয়া: যে তোমাকে প্রচণ্ড আঘাত দিয়ে গেছে, তুমি তার স্যরি বলার অপেক্ষায় আছ। কিন্তু কেন? তোমার জীবনে ওই মানুষটার ‘স্যরির’ কি কোনো দরকার আছে? ব্যাখ্যা করছি, যে তোমাকে আঘাত করেছে, সে স্যরি বলার কারণ হিসেবে নিশ্চয়ই এটা তোমাকে বলবে, সে স্যরি কারণÑ সে তোমাকে কতোটা আঘাত করেছে, কতোটা কষ্ট দিয়েছে, কতোটা যন্ত্রণা দিয়েছে, সেসব সে বুঝতে পেরেছে। প্রশ্ন হলো তার এই বুঝতে পারায় কি আসে যায়? তার কাছ থেকে কেনো তোমাকে জানতে হবে, কতোটা কষ্ট তুমি পেয়েছ?
তুমি জানো না, তুমি তার কারণে কি পরিমাণ যন্ত্রণা পেয়েছো? তুমি তো জানো, কত রাত তোমার নির্ঘুম কেটেছে, কত কান্না চোখের বাঁধ মানেনি, কত চিৎকার বালিশে চাঁপা পড়ে গেছে। তাহলে তার মুখ থেকে তোমাকে কেনো শুনতে হবে, তোমার কষ্টের পরিমাণ কতটা ছিল? যদি ধরেও নেই, ওই মানুষটার সরি বলা শুনলে, তোমার কাছে সুন্দর মনে হবে, সাময়িক হয়ত ভালোও লাগবে। কিন্তু তারপর কি হবে? তারপর তোমার মনে পরে যাবে, সেই সব বিমর্ষ দিনের কথা।
তুমি ফিরে যাবে তোমার অতীত স্মৃতির কাছে। ক্ষতগুলো নতুন করে পোড়াবে। তখন এই মানুষটা কি করবে? তোমার কি মনে হয়, যে মানুষ তোমাকে শত শত টুকরো করে চলে গেছে, সেই মানুষÑই একটা একটা টুকরো তুলে নিয়ে তোমাকে আবার জোড়া লাগিয়ে দেবে? না দেবে না। কখনো দেখেছ? শুনেছ?
যে ভেঙে ফেলে, সে কখনো জোড়া লাগায়? খুনি কে কখনো জীবন ফিরিয়ে দিতে দেখছ?। না দেখনি। যে তোমাকে ভেঙে দিয়ে গেছে, তুমি কি করে তাকে আবারো বিশ্বাস করবে, কিংবা সেই ক্ষমতা তাকে দেবে, যা দিয়ে সে তোমাকে আবারো ধ্বংস করে ফেলার সুযোগ পায়? যেহেতু তোমার নিজেকে নিজেরই জোড়া লাগাতে হবে। নিজের ক্ষত নিজেকেই শুকাতে হবে। তাহলে এই মানুষের স্যরি বলা, কিংবা স্যরি হওয়া, তোমার কি কাজে লাগবে? ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস কর। ফেসবুক থেকে