শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর, ২০২২, ০২:৩৫ দুপুর
আপডেট : ০৭ অক্টোবর, ২০২২, ০২:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংবাদ সম্মেলনে দুর্দান্ত বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

দীপক চৌধুরী

দীপক চৌধুরী: অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বাংলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ডাকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রাম করেছে।  সাম্প্রদায়িকতাকে কবর দেওয়া হয়েছিল ১৯৭১-এ। আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্লোগান ছিল- “জয় বাংলা।”  আর বিএনপি কী করল? দলটি ‘জয় বাংলা’ বাতিল করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ করেছিল। বিএনপি হচ্ছে আগুন দিয়ে পোড়ানো, মানুষ খুন করা, বোমা মারা, গ্রেনেড মারার একটি দল। এসব গুণাবলি, বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র  উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেই দিয়েছেন এ দলটি আসলেই কী। 

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে তাঁর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, সাহসী, দুর্দান্ত, যৌক্তিক ও প্রশংসনীয়। মানুষের মনের কথা উঠে এসেছে শেখ হাসিনার বক্তব্যে। কারণ, মানুষ  কোনো একক অপশক্তির কাছে জিম্মি হতে চায় না। পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি। র‌্যাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিশ্ব-রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা, আফগানিস্তান, ভিয়েতনাম, মানবাধিকার অর্থাৎ  গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যা  খুব জরুরি ছিল। লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা, রোহিঙ্গা সংকট, বিরোধীদের আন্দোলন, বিএনপির রাজনীতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও নিজের দলীয় পদে থাকা না থাকা নিয়ে কথা বলেন  শেখ হাসিনা।

বিএনপির আন্দোলন ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের  দেশের মাটিতে যদি  জোর থাকত, সে রকম সমর্থন থাকত, তাহলে বিএনপিকে বিদেশিদের কাছে  দৌড়াতে হতো না। ওই  যে বলে- খুঁটিতে যদি  জোর থাকত অর্থাৎ নিজের শিকড়ের  জোরটা যদি থাকত তাহলে  তো বিদেশে ধরনা  দেওয়ার প্রয়োজন হতো না। জনসমর্থন থাকলে, জনগণের ওপর আস্থা থাকলে, বিশ্বাস থাকলে বিএনপি জনগণের কাছেই  যেত। মানুষ সামনে এসে দাঁড়ালে কী জবাব দেবে? প্রধানমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট  থেকে বিএনপির সৃষ্টি। তারপর নির্বাচনের  যে প্রহসন, সেটা  তো তাদেরই সৃষ্টি। বরং আমরা নির্বাচনটাকে এখন জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। ছবিসহ  ভোটার তালিকা হচ্ছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স  দেওয়া হচ্ছে। মানুষ  যেন তার  ভোটটা দিতে পারে, সে পরিবেশ বা  ভোট সম্পর্কে মানুষের  যে সচেতনতা, এটা কিন্তু আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে।

১৯৭৫-এর পর  সাম্প্রদায়িক ধারার  রাজনৈতিক উত্থানের পর জয় বাংলার ব্যবহার  রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানি চিন্তাকে বসিয়ে দেন। পাকিস্তানি ধারায় ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ফিরে  আসে। অথচ  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘জয় বাংলা ’ স্লোগান বাঙালি জনতাকে পাকিস্তানের শাসন- শোষণের  বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে  প্রেরণা যুগিয়েছে।  

কিন্তু এই স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষাক্ত ছোবল  দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর। এরপর দল তৈরি করেন জিয়াউর রহমান। তাঁর দল বিএনপি এদেশে ত্রাস-গুম সৃষ্টি করেছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর  খুনিদের রক্ষায় জিয়ার তখন কী রকম প্রাণান্তকর চেষ্টা চলেছিল এদেশে, ইতিহাস এর সাক্ষী।  জিয়ার দলটি যেখানে আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবক্ষেত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে সবরকম চেষ্টা করেছে এ দলটির নেতারা এখন ‘গণতন্ত্রের’ জন্য সভা-সমাবেশ করে চিৎকার দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যেখানে জিয়াউর রহমানের দলটির সৃষ্টি হয়েছিল ‘ক্যান্টনমেন্ট’ থেকে সেখানে তারা কীভাবে গণতান্ত্রিক হয়। কী রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা অগণতান্ত্রিক দলটির। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক দাবি তুলে এদেশের রাজনীতিতে এক অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে হরতাল, লং-মার্চ, অবরোধ, বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন এক সংকটের দিকে ধাবিত করার কৌশল নিচ্ছে জামায়াত-বিএনপি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নামসর্বস্ব কিছু ইসলামি দল। আন্দোলনের নামে ত্রাস সৃষ্টি ও বোমা- গ্রেনেডের ইতিহাস আমরা জানি। 

দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রথমবার, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা ছাড়ার পরই ২০০১-এ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে চিরতরে পৃথিবী থেকে শেষ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয় ২০০৪-এর অগাস্টে। বিএনপি-জামায়াত জোট তখন রাষ্ট্রক্ষমতায়। আর এই গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে দায়িত্বহীন উক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও। এরপরও  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলন আর জেল-জুলুমের পরে অবশেষে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে  ২০০৯ থেকে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলছে দেশ। এখন দেশের অগ্রগতির ট্রেন মহাসড়কে। কিন্তু শক্তিধর গোষ্ঠী, কিছু ব্যক্তি, কিছু কীট, কিছু  দুর্নীতিবাজ দেশের পা টেনে নীচে নামাতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বাধীন সরকার ধারাবাহিকভাবে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভায় উন্নয়নের  রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা,  দৃঢ়তা, সাহসিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ বিশ্বনন্দিত।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা  শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে আসাধারণ জনপ্রিয়তায় সরকার গঠন করেন। একইভাবে বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  নৌকা মার্কায় গণরায় দিয়ে  শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চলমান অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। আজ সারা বিশে^ এক বিস্ময়কর গল্প   বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে।

সারা দুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। কিন্তু  দেশের ভেতর কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক গোষ্ঠী রয়েছে, কীট রয়েছে, কিছু দুর্নীতিবাজ,মানব পাচারকারী  রয়েছে, ষড়যন্ত্রকারী কিছু ধর্মব্যবসায়ী দলও রয়েছে- যারা অগ্রগতি থামাতে চায়। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে  দেশের উন্নয়ন  প্রকল্প একের পর এক  মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। গৃহহীনকে গৃহদান, ভূমিহীনকে ভূমি ও গৃহদান, পদ্মা সেতু নির্মাণ, চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, মাতারবাড়ী প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রাজধানীর চারপাশে স্যুয়ারেজ ট্যানেল নির্মাণের মতো অবকাঠামো গড়ে  তোলা হচ্ছে। সমুদ্র সীমানা বিজয়, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, ফ্লাইওভার নির্মাণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, বয়স্ক ভাতা প্রদান, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যকর, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক  জোন নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও কালভার্ট নির্মাণ,  মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, কৃষিতে সফলতা, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা, এশিয়া হাইওয়ে  রোড প্রকল্প, হাতিরঝিল প্রকল্প, এলিভেটেড একপ্রেস প্রকল্প, মাদক নিধন,  জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, দারিদ্র্যের হার নিম্ন পর্যায়ে রাখা, বিনামূল্যে প্রত্যেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, গরিব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ  কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য  সেবা  কেন্দ্র স্থাপন, বিভিন্ন  জেলায় বিনোদন  কেন্দ্র নির্মাণ, বিভিন্ন  জেলায় শিল্প পার্ক নির্মাণ,  মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির চেষ্টা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী প্রদান ব্যবস্থা, বিধবা ভাতা প্রদানসহ অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বড় অবদান। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে যদি আমরা তাকাই, তাহলে দেখি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নাহলে এটা হতো না। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরির আগমনও বিচার রোধ করতে পারেনি। কখনো  এই বিচার হতো না এদেশে। আমরা জানি, খুনিরা বিদেশে থেকে নানারকম চক্রান্ত করেছিল। দেশে-বিদেশে বসে তাদের দোসরেরা চক্রান্ত করেছে। এখনো  বংশপরম্পরায় তারা নানারকম ষড়যন্ত্র- চক্রান্ত করে যাচ্ছে।  

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে এবং রায় কার্যকর হতে শুরু হলে এদের রক্ষা করতে বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাবানেরা শেখ হাসিনার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল, বিভিন্ন দেশের নেতা মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছে। আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসি দিচ্ছিলাম, তখন পাকিস্তানের সরকার নির্লজ্জের মত এর  বিরোধিতা করেছে, মাঠে, ঘাটে এমনকি সংসদে  শোক প্রস্তাব  এনেছে, সমালোচনা করেছে। এটা আমাদের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি নগ্ন হস্তক্ষেপ ছিল।  

এটা আজ পরিষ্কার যে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাঙালি জাতি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠত, উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা  পেত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ¦স্ত  দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো হয় এ নৃশংস ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশ-বাতাস ও মানুষের মন  থেকে মুছে  ফেলতে  চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা, যা  কোনোদিন হয়নি, হবেও না।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট  ও কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়