শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে বাচ্চাদের হাতে টিভি রিমোট বা ফোন দেবেন না

শুভ কামাল

শুভ কামাল: বাচ্চাদের টিভি/ফোন দিবেন না। দিলেও একেবারে লিমিটেড ভাবে দিবেন। এইগুলা বাচ্চাদের প্রতিবন্ধী বানায়া ফেলে। লিটারেলি। যেমন ধরেন বাচ্চার এটেনশন কমে যাবে, আই কন্ট্যাক্ট কমে যাবে, বাচ্চা ডাকলে সাড়া দিবে না, বেশিরভাগ সময় স্টিমুলেটেড বা উত্তেজিত হয়ে থাকবে। এইগুলা সবই অটিজমের প্রাথমিক লক্ষণ। কুসুম হওয়ার পরে গত পাঁচ মাস ধরে বিহানের ভাগে সময় কম পরছিলো। আমরা টিভি দিয়া বসায়া দিতাম নিজেদের সুবিধার্থে, প্রায় সারাদিনই বাসার টিভি ছাড়া থাকতো। এমনকি প্রয়োজন ছাড়াই টিভি চালু থাকতো। আমরা আসলে বুঝিনাই। হঠাৎ কয়েকদিন আগে ইভা আপা বললেন বিহান তো ডাকলে আগের মত সাড়া দেয়না। আমাদের কলিজা কেঁপে উঠলো।

আমরা দেখলাম তাই তো, সে আই কন্ট্যাক্টও করছে না। অথচ বিহানের ছোটবেলার যত ছবি দিয়েছি সব গুলাতেই দেখা যেতো সে যেন চোখের দিকে তাকিয়ে হৃদয় পর্যন্ত পড়ে নিচ্ছে। সে অনেক বকর বকর করে, কিন্তু সেগুলা যেন মীনিং ছাড়া, মনে হলো সে টিভিতে যা দেখছে তাই বলছে, খুব যেন বুঝে শুনে কিছু বলছে না। ভাইরে একটা টেনশন মাথায় ঢুকলে আরো কতকিছু যে মনে হয়। আমরা প্রচুর টিউটোরিয়াল দেখা শুরু করলাম অনলাইনে, কিন্তু এতে টেনশন আরো বাড়লো- টিভিতে যেকোন রোগের অনুষ্ঠান দেখলে যেমন মনে হয় আরে আমারও তো মনে হচ্ছে ওই জটিল রোগটা হয়েই গেছে। অবশেষে আমরা টোটালি টিভি অফ করে দিলাম। 

আর বাকি সব কাজ ফেলে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিলাম বিহানকে। আমি এখন বিহান সজাগ থাকলে ফোন ইউজই করিনা। সে সজাগ অবস্থায় ফোনে কিছু করতে হলে বাথরুমে গিয়ে করি। লিটারেলি সব বাদ দিছি, একান্ত কাজের সময় ৯টা-৫টা বাদে পুরা সময় বাচ্চাকাচ্চার।

এই কয়েক দিনেই বিশাল পরিবর্তন মাশাল্লাহ। সেই আমার পুরানো বিহান। একটু আগে ঘুমের সময় সে আমার কোলে উঠতে চাইলো। বললো- ‘সিপ’, ‘সিপ’। প্রথমে বুঝলাম না। পরে বুঝতে পেরে চমকে উঠলাম, কারণ জীবনে প্রথমবার বললো এই কথা- সে বলতে চাচ্ছে স্লিপ, স্লিপ। অর্থাৎ সে ঘুমাবে। কোলে নিতেই কাঁধে মাথা ফেলে দিলো। অথচ টিভি দেখাকালীন সময়ে ঘুমের আগপর্যন্ত টিভি ছাড়া থাকতো, সে ক্র্যাংকি হয়ে ঘুমাতো, বেশিরভাগ সময়েই জোর করে ঘুম পাড়াতে হতো। ভাইরে টিভি দিবেন না বাচ্চাদের। মনে হতে পারে আপনার অনেক কাজ তাই টিভি দিয়ে ব্যস্ত না রাখলে হবেনা। ভাইরে একই কথা আমরাও কয়েকদিন আগে ভাবতাম। কিন্তু এখন টিভি/ফোন ছাড়া চলছে না? চলছে তো! নিজের জন্য হয়তো কোন সময় নেই, কিন্তু এই সময়টা বাচ্চাদের পেছনে ইনভেস্ট করলে বাকি জীবন সহজতর হওয়ার কথা। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়