শিরোনাম
◈ এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আজ থেকে শুরু, যেভাবে করবেন ◈ `মব ভায়োলেন্স' থামানো যাচ্ছে না কেন ◈ বাংলা‌দেশ যুবদল গে‌লো দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে ◈ ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় প্রক্রিয়া তিন মাসের জন্য স্থগিত করলো গ্রিস ◈ ভারতীয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি ◈ বাংলাদেশ সফর স্থগিত করায় শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে সিরিজ খেলার প্রস্তাব পেলো ভারত ◈ সাকিব আল হাসা‌নের অলরাউন্ড পারফর‌মে‌ন্সে দুবাইয়ের দাপুটে জয় ◈ ১১ মাস ধরে বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৈঠক, বেনাপোলে বাণিজ্যে স্থবিরতা ◈ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিতের ট্রাম্পের আদেশ সারা দেশে স্থগিত করলেন মার্কিন ফেডারেল বিচারক ◈ ১০০ বছর বয়সেও কর্মচঞ্চল মাহাথির: দীর্ঘায়ুর ৬টি অভ্যাস জানালেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ০২:২০ দুপুর
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

মব”“মব” করে একটি চক্র জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে : ফয়েজ আহম্মদ 

মনিরুল ইসলাম: “মব” একটি আওয়ামী ন্যারেটিভ। কখনো কখনো প্রতিবাদকে “মব” বলা হচ্ছে, আবার কখনো কখনো ছোট খাটো সংঘাতকেও “মব” বলা হচ্ছে। সবকিছুকে এভাবে “মব” বলা ব্যক্তিদের অধিকাংশই সফট আওয়ামী লীগার।

শুত্রুবার প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ তার এফবিতে এক ষ্ট্যাটাস পোষ্ট দিয়ে এসব কথা বলেন। তিনি মব নিয়ে দীর্ঘ পোষ্ট দেন। এতে লিখেন দেখি।লিখি। 

তার পোষ্টে তিনি লিখেন, মাথায় রাখবে আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে বিপুল সংখ্যক বিনা বিচারে হত্যা করেছে। তাঁরা যে বিচারহীনতা এবং জনমানুষের হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে তা প্রায়শই প্রকাশ পায়। আবার কখনো কখনো সুযোগ সন্ধানী কিছু মহল পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নেয়।

সবাই বেমালুম ভুলে যায়  আওয়ামী লীগের ছাত্র ও যুব সংগঠন নিরস্ত্র মানুষের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, দর্জী বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নারী শিক্ষার্থীদের ওপর কতটা সহিংস হয়েছ এই তান্ডববাজরা তা আমাদের স্মৃতিপটে এখনো তাজা।

“মব” শব্দটি যখন ব্যবহার করা হয়, তখন তা কেবল সহিংস জনতার এক অনিয়ন্ত্রিত আচরণকেই বোঝায় না, বরং রাজনৈতিকভাবে তার একটি মূল্যায়নও তৈরি করে। কোনো সংগঠিত বা রাজনৈতিক প্রতিবাদকে “মব” বললে সেটি অব্যবস্থাপনা, হঠকারী উচ্ছৃঙ্খলতা এবং আইনের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে পরিগণিত হয়। এই শব্দচয়ন কৌশলটি ব্যবহার করে আওয়ামী ঘরানার বিশ্লেষকেরা প্রতিপক্ষের প্রতিরোধকে “অন্যায়” হিসেবে দেখাতে চান।

যাঁরা নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী বয়ানকেই নানাভাবে সমর্থন করেন, তাঁদের বলা যায় “সফট আওয়ামী লীগার”। এঁরাই বেশিরভাগ সময় "মব" শব্দের অপব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা হয়তো সরাসরি আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দেন না, কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিবাদ দেখলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং সেটিকে “জনগণের ক্ষোভ নয়, বরং অশিক্ষিত জনতার সহিংসতা” বলে চিত্রিত করেন। এমনকি কখনো কখনো ছোটখাটো সংঘর্ষ, ট্রাফিক জ্যামে চিৎকার, বা কোনো মিছিলের উল্লাসকেও “মব বিহেভিয়ার” বলে উল্লেখ করেন।

রাজপথে সাধারণ আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা, পিটুনি, এমনকি গুলি—এগুলোকে 'প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা' বলে চালানো হয়, অথচ বিরোধীদের কোনো প্রতিক্রিয়া হলেই 'মব' তকমা লেগে যায়। 
কোন অবস্থাতেই কোন বেআইনি কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটাও পরিষ্কার “মব”“মব” করে একটি চক্র জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়