শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫৭ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত কয়েক দশকে দেশে পেশায় শিক্ষকতা করে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, কিন্তুকমেছে শিক্ষক! 

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন: পেশা হিসাবে আমি শিক্ষকতা করি। কিন্তু আমি এই পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন? আমি উত্তর দিই,  একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। প্রশ্নকারী প্রায়ই পালটা বলে উঠে, উহ তার মানে শিক্ষক? আমি বলি, না। শিক্ষকতা আমার পেশা। আমার কাছে শিক্ষকতা পেশা ও শিক্ষক দুইটা আলাদা সত্ত্বা। যে কেউ শিক্ষক হতে পারে। একজন কুলী, মুজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহিনী সবাই। যে তার কর্ম ও চিন্তায় সৎ এবং সেই সততা অন্যকে ছড়িয়ে দেয় সেই শিক্ষক। একজন মা শিক্ষক। একজন বাবা শিক্ষক। কিন্তু পেশায় শিক্ষকতা মানে যার জীবিকা আসে এই পেশা থেকে। 

গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে পেশায় শিক্ষকতা করে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক কমেছে। তাই যারা ছাত্র- ছাত্রীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি কিংবা আমার মতো হাজার হাজার পেশায়  শিক্ষকতা করে এমন মানুষদের কাছে প্রত্যাশা করেন আমরা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের, তাচ্ছিল্যের, শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করবো, তাহলে আপনি ভুল গ্রুপের কাছে প্রত্যাশা করছেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো শিক্ষক হয়ে উঠতে পেরেছে, যিনি প্রতিবাদ করছেন। অন্যায়কে অন্যায় বলছেন। 

আর বেশির ভাগ তুই আর তোরা তাচ্ছিল্য অর্থের যে ক্যাটাগারি, সেই ক্যাটাগরির মধ্যে আটকে নিজেকে পন্ডিত ভাবছে। জাতির অর্গাজমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাবছে। হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত সংলাপ, ‘তুই রাজাকার’ যেমন একই সাথে সামাজিক ঘৃণা ও দেশপ্রেমের একটা চমৎকার ব্লেন্ড। তেমনি, তোরা শিক্ষক একই সাথে ক্ষমতা, দাম্ভিকতাকে সার্ভ করা শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত অনেকের আত্মপরিচয়। এটা তাদের সামনে আয়না। দুর্ভাগ্য এই আয়নায় আমরা মুখ দেখি না, পদপদবি দেখি। আমার কাছে আন্দোলনকারী প্রতিটা শিক্ষার্থী, তাদের সমর্থনকারী সবাই শিক্ষক। কারণ তারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়ছে। শুধু আমাদের শিক্ষক হিসাবে গণ্য করে সময় নষ্ট করবেন না। শিক্ষকতার চাকরি যে করে, সে তো চাকর। চাকরের কাছে ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। এটা আমার কথা না রবীন্দ্রনাথও বলেছেন। 

লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি অব মেইন, যুক্তরাষ্ট্র

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়