শামসুদ্দিন পেয়ারা: রবীন্দ্রনাথের ওপর যাদের অপরিসীম অসন্তোষ, রাগ ও ঘৃণা তাদের বলবোÑ একবার সঞ্চয়িতা, গীতবিতান ও গল্পগুচ্ছটা পড়ুন। যেখানটায় ভালো লাগবে সেটা আবার পড়ুন। প্রিয় কারো সাথে আলাপ করুন। সঞ্চয়িতাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনার গায়ের ও মনের আগুন ধীরে ধীরে কমে আসবে। কয়েকবার পড়লে নিভেই যাবে। রবীন্দ্র রচনাবলী নাড়াচাড়া করতে থাকলে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে, ভালো কারো কণ্ঠে তাঁর গানগুলো শুনতে থাকলে মনটা ভরে যাবে। জগৎ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা জাগবে। তখন পৃথিবীকে অনেক সুন্দর ও আপন মনে হবে। সুন্দরের তৃষ্ণা জাগবে। মনটা নান্দনিক হবে। উগ্রসাম্প্রদায়িক লোকেরা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কীসব মিথ্যা প্রচার করছে সে সবে কান দেবেন না। ওরা মিথ্যুক। কিছুই জানে না। শিক্ষিত মূর্খ। বুদ্ধি-উদ্বাস্তু।
রবীন্দ্রনাথ হচ্ছেন অনন্তের সিঁড়ি। এই সিড়ি দিয়ে আপনি যতটুকু খুশি উপরে উঠতে পারবেন। ল্যান্ডিংয়ে বসে শ্বাস নিতে পারবেন। বিশ্রাম নিতে পারবেন। ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। যতক্ষণ খুশি জেগে থাকতে পারবেন। নিজেকে নিজের সামনে উম্মুক্ত করে তুলে ধরতে পারবেন। দলবদ্ধ হতে পারবেন, আবার নিঃসঙ্গও হতে পারবেন। হাসতে পারবেন। কাঁদতেও পারবেন। রবীন্দ্র-সরোবরে অবগাহন একজন মানুষকে উদার, মহত ও কলুষমুক্ত, প্রেমিক মানুষে পরিণত হতে সাহায্য করে। রবীন্দ্রনাথকে পুজা করতে হবে না। সেরা বন্ধুটি মনে করলেই যথেষ্ট। লেখক: মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :