শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৪, ০৭:২৭ সকাল
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৪, ০৭:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ বছরের সত্যজিৎ রায় বিশ্বকবির কাছে অটোগ্রাফ চাইলে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন যে বিখ্যাত কবিতা

ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বয়স তখন মাত্র দশ বছর। ১৩৩৬ সালের পৌষমেলা উপলক্ষ্যে মা সুপ্রভা রায়ের হাত ধরে বালক মানিক ওরফে সত্যজিৎ রায় সেবার গিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। বালকের হাতে নতুন কেনা একটা অটোগ্রাফের খাতা। তাঁর খুব ইচ্ছে, সেই বেগুনি রঙের ছোট্ট খাতার প্রথম অটোগ্রাফটাই হবে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সেই প্রত্যাশা নিয়ে মায়ের সঙ্গে গুটিগুটি পায়ে বালক সত্যজিৎ এসে হাজির উত্তরায়ণে। আটষট্টি বছরের প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ সেই সময় কিছুদিন উত্তরায়ণেই অবস্থান করছিলেন। বিশ্বকবির সঙ্গে খানিকটা পারিবারিক যোগাযোগ ছিল আগে থেকেই। সাক্ষাৎপর্ব মেটার পর অটোগ্রাফ-খাতায় সই নেওয়ার প্রবল ইচ্ছের কথা ছেলের হয়ে মা নিজেই উপস্থাপন করলেন কবিগুরুর কাছে। 

রবীন্দ্রনাথ সুপ্রভা দেবীর কাছ থেকে অটোগ্রাফের খাতাটি নিলেন এবং সত্যজিৎকে পরের দিন এসে খাতাটি ফেরত নিয়ে যেতে বললেন। কবিগুরুর নির্দেশ অনুসারে পরদিন সকালে খাতাটি ফেরত আনতে গিয়ে বালক মানিক তো আনন্দে আত্মহারা। কারণ শুধু সই নয়, দশ বছরের ছোট্ট মানিকের জন্য রবীন্দ্রনাথ সেই খাতার মধ্যে লিখে দিয়েছিলেন আট পঙক্তির একটি ছোট্ট কবিতা। এই সেই বিখ্যাত কবিতা, যা আজও চিরস্থায়ী আসন ধরে রেখেছে বাঙালি পাঠকের মনে, ‘বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে/বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে/দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা/দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু/দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/একটি ধানের শিষের উপরে/একটি শিশির বিন্দু’।(স্ফুলিঙ্গ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত) 

সেই দিনটি ছিল ৭ পৌষ ১৩৩৬ সাল। পরে বড় হয়ে ছেলেবেলার সেই অসামান্য প্রাপ্তি নিয়ে নিজের স্মৃতিচারণায় সত্যজিৎ লিখেছিলেন : এক সকালে মায়ের সঙ্গে গেলাম উত্তরায়ণে। খাতাটা দিতে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘এটা থাক আমার কাছে; কাল সকালে এসে নিয়ে যেও’। কথামতো গেলাম পরের দিন। টেবিলের উপর চিঠিপত্র, খাতা বইয়ের ডাঁই, তার পিছনে বসে আছেন রবীন্দ্রনাথ, আর আমায় দেখেই আমার ছোট্ট বেগুনি খাতাটা খুঁজতে লেগেছেন সেই ভিড়ের মধ্যে। মিনিট তিনেক হাতড়ানোর পরে বেরোল খাতাটা। সেটা আমায় দিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এটার মানে ও আরেকটু বড় হলে বুঝবে’। খাতা খুলে পড়ে দেখি আট লাইনের কবিতা, যেটা আজ অনেকেরই জানা। সূত্র : ফেসবুক পেজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়