শিরোনাম
◈ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ দল ◈ বাংলাদেশে বাড়িতে সন্তান প্রসবের উচ্চহারে জাতিসংঘের উদ্বেগ, পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ ◈ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ ◈ রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ◈ ডিএফপির নতুন ডিজি আকতার হোসেন ◈ শরিকদলগুলোর সাথে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে আলোচনা চলছে: মির্জা ফখরুল ◈ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল ◈ তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ফের ৫২ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে হত্যাচেষ্টা, অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:০৫ সকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাণীকে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে ৩৬৫টি পুকুর খনন 

শিহাব আহমেদ শাহীন

শিহাব আহমেদ শাহীন : রাণীকে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত করার জন্য কবিরাজ-হাকিমের পরামর্শে ৩৬৫টি পুকুর খনন করেছেন পাল বংশের রাজা চান্দিলাল পাল। মমতাজের স্মৃতিতে বাদশা শাহজাহানের তাজমহল নির্মাণের মতন যুগে যুগে এমন অনেক ভালোবাসার অমর কাহিনী আমাদের লোকগাথায় বিবৃত হয়েছে। লোকমুখে প্রচলিত তেমনি একটি অমর প্রেমের কাহিনীর নির্দশন হচ্ছে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের চকচান্দিরা গ্রামে কথিত পাল বংশের রাজা চান্দিলাল পাল কর্তৃক খননকৃত ৩৬৫টি পুকুর। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে রাজা চান্দিলাল পাল প্রথম রাণীকে প্রাসাদে নিয়ে আসেন। কয়েক বছর পর প্রেমে পড়ে প্রচণ্ড ভালোবেসে বিয়ে করে দ্বিতীয় রাণীকেও নিয়ে আসেন প্রাসাদে। মধুচন্দ্রিমা কেটে উঠার আগেই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন দ্বিতীয় রাণী। রাণীর নিরাময়ের জন্য রাজা চান্দিলাল রাজ্যের সব কবিরাজ-হাকিমকে ডেকেও কোনো সুফল না পেয়ে যখন দিশেহারা তখন তিনি পাশের রাজ্যের এক দক্ষ হাকিমের খবর পান। তিনি দূত মারফত হাকিমকে নিজ রাজ্যে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। হাকিম আসার পর রাণীর রোগ সম্পর্কে সব শুনে হাকিম রাজাকে পরামর্শ দেন, রাণীকে সুস্থ করতে চাইলে রাজাকে ৩৬৫টি পুকুর খনন করতে হবে এবং রাণীকে প্রতিদিন একটি করে পুকুরে গোসল করাতে হবে, তাহলে রাণী দুরারোগ্য থেকে মুক্তি পাবেন। 

হাকিমের কথায় রাজা চিন্তায় পড়ে যান। এত অল্প সময়ে কীভাবে এত পুকুর খনন করবেন? ভালোবেসে বিয়ে করা প্রিয়তমা স্ত্রী বলে কথা। হাকিমের পরামর্শ অনুযায়ী রাজা দ্রুত রাজ্যের সব প্রজাকে দিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করেন। দিনে একটি পুকুর খনন করা শেষ হয় আর রাণী সেখানে গোসল করেন। এক বছর পর রাণী কঠিন দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্তি পান। বর্তমানে চকচান্দিরা গ্রামে, ৩৬৫টির প্রতিটি পুকুরের পাড়ে বন বিভাগের সুবিশাল সবুজ বনায়ন। বনের গাছের ডালে বিভিন্ন পাখির কলরব শুনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও পাশে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রয়েছে বন বিভাগের নজরকাড়া সৌন্দর্যের নিজস্ব সবুজ বনায়ন। প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে ৩৬৫টি পুকুর ছাড়াও, দুই রাণীর গোসলের জন্য আলাদা দুটি পুকুর খনন করা ছিল, যে দুটি এখন ‘দুই সতীনের পুকুর’ নামে পরিচিত। পুকুর দুটিতে গোসল করতে নামলে ইট-পাথরসহ অনেক মূল্যবান বস্তুর দেখা পাওয়া যায়। ২৭-৪-২৪। ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়