রবিউল আলম: কংগ্রেসের ভুলের শেষ নেই। তৃণমূল কংগ্রেস, কাশ্মীর কংগ্রেস থেকে অনেক দলের জন্ম হয়েছে। বামদের জাতিধর্ম, বর্ণের রাজনীতির নীতির ভুলের মাসুল গুণতে হচ্ছে ভারতকে। মানবতার, মানবিকতার মূল্য দিতে হচ্ছে ভারতের জনগণকে। ধর্মনিরপো রাষ্ট্র ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রের পরিণত করে ভারতবর্ষ রক্ষা করা যাবে না। মোদিজী সেই কাজটিই করেছে কিছু মুসলিম দলের সহায়তায়। একদিন না একদিন ভেঙে পরবে কাঠামো, জাতিগত বিভেদের কারণে। ফারুক আবদুল্লাহ, ওআইসি, আব্বাস সিদ্দিকী, মাওলানা বদরুদ্দীন আজমলদের এখন মত নিয়ে ভাবার চাইতে ভারতকে নিয়ে ভাবতে হবে। আপনারা মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা করতে পারবেন, যদি মোদি যোগীকে হটাতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিশ্বাস করা যায় না, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য। কখন বিজেপির মন্ত্রী হন, কখন বিজেপির বিরুদ্ধবাদী হন। বিজেপি খেদাও আন্দোলন কমিউনিস্টদেরই করতে হবে। বুঝতে হবে বিজেপিকে না তাড়ালে বামের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।
ত্রিমুখী আন্দোলন হয় না। বিশ্ব দ্বিমুখী শত্রুর শত্রুকে বন্ধু করে নিতে হয়। বড় বাঁশটাকে আগে কাটতে হয়। পরের ভাগবাটোয়ারা মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হয়। এককভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে আপনাদের মতবাদ কমাতে হবে। শুধু ধর্মের দোহাই ভারতের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কে বড়, কে সঠিক, কে হিন্দু, কে মুসলিম এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সময় এখন নয়। ইন্ডিয়ার ঐক্যবদ্ধ জয়ই ভারতকে রক্ষা করতে পারে। ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে, ভারত আমাদের প্রতিবেশী, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহন করে, ভারত আমার দেশের এক কোটি শরণার্থীকে বহন করেছে। ভারতের মানচিত্র বাংলাদেশের মানচিত্র বাদ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। ভারতের শান্তি অশান্তির হাওয়া বাংলাদেশকে বহন করতে হয়। ভারতের ওপর বাংলাদেশকে অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। ভারতের স্বাধীনতার জন্য ধর্মকে হিসেব করা হয়নি, অনেক রাজ্য ভারতের সঙ্গে একাকিত্ব হতে চায়নি। ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য ১৯৫২ সালে ত্রিপুরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।
ভারত এখন পরাশক্তির একটি। ছোট ছোট দেশে ভাগ না হয়ে ভারতের ঐক্য বজায় রাখতে হবে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য। বিজেপির হিন্দুত্ববাদে এক্য বিনষ্টের কারণ হতে পারে। ভারতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে পারে এবং ধরেছে বলতে পারেন, জাতিগত মতবাদের জন্য। কংগ্রেসের সঙ্গ দিয়ে বিজেপি হটাও, কংগ্রেস ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ বজায় রাখতে পারলে ঐক্য। না রাখতে পারলে হিসেব অন্য। চেষ্টা করুন ভারতের শান্তির জন্য। ধর্মকে বাঁচাতে চাইলে, ভারতকে বাঁচাতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার মাসুল দিচ্ছে বিশ্ব, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ উপহার পেয়েছে। এতো ধর্ম এতো জাতির দেশ ভারত, ধর্মনিরপেক্ষতা ছাড়া জাতীয় ঐক্য টিকে থাকতে পারে না, কংগ্রেস ছাড়া এই মুহূর্তে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত একাধিক মুসলিম দলের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতকে আমরা হারাতে চাই না। এমনকি বাঙালি জাতির অংশ পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতাও চাই না, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য। মুসলমানদের ভোট ভাগ হলে বিজেপির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসরা দর কষাকষির সুযোগ নেবে। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :