মোজাফফর হোসেন: তীব্র গরমের ঠ্যালায় সকলে প্রচুর গাছ লাগানোর কথা বলছেন। কিন্তু গাছ লাগানোর আগে নিশ্চিত করতে হবে গাছ না কাটা। হ্যাঁ, প্রয়োজনে গাছ তো কাটা পড়বেই, কিন্তু সেই প্রয়োজন মানে এই না যে ভাওয়াল বনের মাঝখানে বন উজাড় করে আলিশান রিসোর্ট বানাতে হবে। এই যে, রাস্তা সংস্কারের জন্য ধানমণ্ডি, সাতরাস্তার মাঝের গাছগুলো কাটাপড়ল, হয়তো উপায় ছিল না; কিন্তু বৃক্ষজাতীয় গাছের পরিবর্তে ছোট আকারের ফুলগাছ লাগিয়ে তো ছায়া দেওয়া যাবে না। পাখিও থাকতে পারবে না। এমন গাছ লাগানো উচিত ছিল যেগুলো বাস চলাচলে অসুবিধাও না করে, আবার ছায়াও দেয়।
ঢাকা শহরের যেহেতু গাছের আর জায়গা হচ্ছে না, ছাদবাগান বাধ্যতামূলক করে দেওয়া যেতে পারে। আমরাদের ভবনটা প্রায় ২৩ কাঠা জমির উপর। কিন্তু ভবন কমিটি নিয়ম করেছে ছাদে কোনো গাছ লাগানো যাবে না। অধিকাংশ বারান্দাতেও গাছ নেই। ফলে পুরো ভবনটা তেতে থাকে, রাতেও। শেষ কথা হলো: ঠ্যালায় পড়ে গাছলাগানো, চেতনার কারণে আল্পনার বিরোধিতা করা, এসব করে পরিবেশ বাঁচানো যাবে না। পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে।
আমাদের প্রয়োজনের বাইরেও পরিবেশের অধিকার আছে এই পৃথিবীর উপর। একটা নদী লক্ষ লক্ষ মানুষের চেয়ে কম প্রাণময় না, নির্দ্বিধায় নদী হত্যা যে জাতি করে, সেই জাতি ঠ্যালায় পড়ে এখন গাছ লাগাবে? সামান্য কটা টাকার জন্য নদীগুলো ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। একটি নদীর মূল্য কত জানেন? একটা দেশ চাইলেই একটা নদীর জন্ম দিতে পারে? শ্যালার গরিব জাতি, নিজের পরিবার ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। শালার মূর্খ জাতি, কন্সট্রাকশন ছাড়া ডেভেলপমেন্ট বোঝে না। লেখক: কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :