শিরোনাম
◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:০০ রাত
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘কি’-‘কী’ বিতর্ক ও সলিমুল্লাহর রবীন্দ্র-তুচ্ছায়নঃ ভূমিকা-অধ্যায়

মাসুদ রানা

মাসুদ রানা: সলিমুল্লাহ খান ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘শব্দের অর্থ ও অনর্থ’ শিরোনামের একটি রচনা প্রকাশ করেছেন। সে-রচনার প্রসঙ্গ ছিলো ‘কি’-‘কী’ বানান বিতর্ক। তিনি শুরু করেছেন তার পর্যবেক্ষিত ‘কি’ শব্দের ‘শ্রাদ্ধ’ নিয়ে এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কটাক্ষ করে, ‘বাংলা একাডেমির নিয়ম যাঁহারা রচনা করিয়াছেন তাঁহাদের জিজ্ঞাসা করিলে জানা যায় এই নিয়মের সহি বড় আদি ও আসল নিয়ামক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’ আর, সে-সূত্রে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রস্তাবটি তুলে ধরেছেন নিম্নলিখিতভাবেঃ ‘আমার বক্তব্য এই যে, অব্যয় শব্দ ‘কি’ এবং সর্বনাম শব্দ ‘কী’ এই দুইটি শব্দের সার্থকতা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তাদের ভিন্ন বানান না থাকলে অনেক স্থলেই অর্থ বুঝতে বাধা ঘটে। এমন-কি, প্রসঙ্গ বিচার করেও বাধা দূর হয় না। ‘তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়’ আর ‘তুমি কী জানো সে আমার কত প্রিয়’, এই দুই বাক্যের একটাতে জানা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হচ্ছে আর একটাতে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে জানার প্রকৃতি বা পরিমাণ সম্বন্ধে, এখানে বানানের তফাত না থাকলে ভাবের তফাত নিশ্চিতরূপে আন্দাজ করা যায় না’। ‘আমার মতে বানানের ভেদ থাকা আবশ্যক। একটাতে হ্রস্ব ই ও অন্যটাতে দীর্ঘ ঈ দিলে উভয়ের ভিন্ন জাতি এবং ভিন্ন অর্থ বোঝবার সুবিধা হয়। ‘তুমি কি রাঁধছ’ [আর] ‘তুমি কী রাঁধছ’Ñ বলা বাহুল্য এ দুটো বাক্যের ব্যঞ্জনা স্বতন্ত্র। তুমি রাঁধছ কিনা এবং তুমি কোন্ জিনিস রাঁধছ, এ দুটো প্রশ্ন এক নয়, অথচ এক বানানে দুই প্রয়োজন সারতে গেলে বানানের খরচ বাঁচিয়ে প্রয়োজনের বিঘ্ন ঘটানো হবে’। 

উপরের পাঠ থেকে পাঠকগণ এ-সার-সংক্ষেপ করতে পারেন যে,  কোথায় ‘কি’ হবে এবং কোথায় ‘কী’ হবে, তা নিয়ে যে-সমস্যা হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সমাধান দিয়েছেন এই বলে যে, শব্দটি যদি অব্যয় হয়, এর বানান হবে ‘কি’, আর যদি সর্বনাম হয়, এর বানান হবে ‘কী’। বলাই বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ-প্রস্তাব সলিমুল্লাহ খানের পছন্দনীয় নয়। তিনি প্রস্তাবটির বিরোধিতা করছেন এবং বলছেন, ‘কী’ লেখার আদৌ কোনো দরকার নেই। ‘কী’র দরকার নেই কেনো? উত্তরে তিনি রবীন্দ্র-পূর্ববর্তী যুগের কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তর ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’ থেকে পাঁচটি চরণ তুলে এনে দেখালেন বিভিন্ন অর্থে অভিন্ন ‘কি’ শব্দটিই ব্যবহার করেছেন কবিঃ ‘কি আশ্চর্য্য! এত করে করিনু মিনতি/তবু কি আমার কথা শুনিলে না, ধনি?/এ সকল দেখে শুনে, রাধার কপাল-গুণে/তুমিও কি ঘৃণিলা গো রাধায়, স্বজনি?/এই কি উচিত তব, ওহে স্রোতস্বতি?’ মাইকেল মধুসূদন দত্তর যুগের একটি বানান কেনো পরিবর্তন হতে পারবে না রবীন্দ্র যুগে এসে, যখন কি-না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করে ব্যবস্থাপত্র দিলেন, তাতে গেলেন না সলিমুল্লাহ খান। পাঠকের মনে হতে পারে, বুঝিবা বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রস্তাব তা ভালোই কিংবা মন্দই হোকÑ কোনোক্রমেই মানা যাবে না। যাহোক, সলিমুল্লাহ খান ‘কি’র ব্যবহার ব্যাখ্যা করে বুঝালেন যে, অভিন্ন ‘কি’ শব্দটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত নানা পদ রূপে ব্যবহার করেছেন এবং তা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না দুটি ঘটনার কারণে। কী ঘটনা?

সলিমুল্লাহ খানের মতে, একটি ঘটনা হলো ব্যঞ্জনা এবং অপরটি লক্ষণা। পরিশেষে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি হওয়া সত্ত্বেও ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা বুঝতে পারেননি। পড়ুন সলিমুল্লাহ খানের নিজের ভাষায়ঃ ‘এই উদাহরণে [মাইকেল মধুসূদনের কাব্যে] প্রথম চরণের ‘কি আশ্চর্য্য!’ প্রয়োগে ‘কি’ শব্দটি বিশেষণের বিশেষণ, দ্বিতীয় চরণের 'কি' প্রশ্নসূচক অব্যয়, চতুর্থ চরণের ‘কি’- একই কারণে- প্রশ্নসূচক অব্যয় আর পঞ্চম অর্থাৎ শেষ চরণের ‘কি’ শব্দটি প্রশ্নসূচক সর্বনাম। প্রশ্ন হইতেছে, বানানের তফাত না থাকায় ‘কি’ শব্দের ভিন্ন ভিন্ন জাতি আর ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বুঝিতে অসুবিধা হয় কিনা। আমাদের ধারণা, হয় না। না হওয়ার কারণ শব্দের ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা বলিয়া দুইটা ঘটনা। ইংরেজিতে ইহাদের যথাক্রমে ‘মেটাফোর’ আর ‘মেটোনিমি’ বলা হয়। ব্যঞ্জনার গুণে যে কোন শব্দ একাধিক অর্থ গ্রহণ করে। আর একটা ঘটনার নাম লক্ষণা। তাহার কারণেও শব্দের অর্থ সম্প্রসারিত বা সংকুচিত হইতে পারে। ভাবিতে অবাক লাগে, কবি হইয়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঞ্জনার ব্যঞ্জন ও লক্ষণার লক্ষণ ধরিতে পারেন নাই।’

এবার, পাঠকের নিয়ে যাওয়ার জন্যে সলিমুল্লাহ খানের কথার সার-সংক্ষেপে হচ্ছেঃ.‘কি’ বানানই যথেষ্ট, ‘কী’র দরকার নেই, কারণ তাতে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা নামের দু’টি ঘটনার কারণে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কি’-‘কী’ পার্থ্যসূচক বানানের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ তিনি ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা বুঝতে পারেননি বলে এ-প্রস্তাব করেছেন। পাঠক যদি তার সমগ্র রচনাটি পড়তে চান, নীচের লিংক ধরে সমকালের পাতায় গিয়ে পড়তে পারেন এবং চেষ্টা করে দেখতে পারেন সলিমুল্লাহ খানের ব্যবস্থাপত্র মতে ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা ব্যবহার করে ‘কি’-‘কী’ ব্যবহারের প্রশ্নে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারেন কি-না। https://samakal.com/opinion/article/2301149171। আমি স্বয়ং একজন পাঠক হিসেবে, পাঠকের অধিকার নিয়ে জানাচ্ছি, আমি সলিমুল্লাহ খানের রবীন্দ্র-বিরোধিতা ছাড়া আর কিছুই বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয়েছে, তিনি সমস্যাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় পুনরুৎপাদন করলেও এর সমাধান দিয়েছেন দুটি অসংজ্ঞায়িত ও অব্যাখ্যাত ঘটনা বাংলা ও ইংরেজি নাম উল্লেখ করে। এ-হচ্ছে সলিমুল্লাহ খানের ‘শব্দের অর্থ ও অনর্থ’ শীর্ষক লেখার মূল কথা। 
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছেঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সমস্যা কথা বলছেন এবং যাতে আজও বাঙালী ভুগছে, তার কোনো সমাধান দিতে পেরেছেন সলিমুল্লাহ খান? তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রস্তাব গ্রহণ করবেন নাম, ভালো কথা। কিন্তু তার যুক্তি কী? রবীনাথ ঠাকুরের সমাধান ফেলে দিয়ে তিনি কি কোনো বিধান দিয়েছেন? পাঠক ভাবুন তার সমগ্র লেখাটি পড়ে কোনো সমাধান খুঁজে পান কি-না। ব্যঞ্জনা কী? লক্ষণা কী? কীভাবে এ-ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা ব্যবহার করে আমরা ‘কি’ দ্বারা কখন কী বুঝানো হচ্ছে বুঝবো? সলিমুল্লাহ খান পাঠককে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু পাঠককে জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে এম্পাওয়ার্ড বা ক্ষমতায়িত করেননি। আমি মনে করি এটি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাজ হতে পারে না। এক যুগের পণ্ডিত আগের যুগে পণ্ডিতদের ধারণা বাতিল করতে পারেন যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এবং এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু আগের যুগের পণ্ডিতদেরকে ‘জানতেন না, বুঝতে না’ বলে বাতিল করে দেবেন কিন্তু বাতিল করে আপনি কিছুই দিলেন না, তা হতে পারে না। 

এবার আমি লেখক হিসেবে এ-বিতর্কে জড়িত হতে চাই। বলতে কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি একটি পক্ষ নিয়েই জড়িত হতে চাই। 

আমার পক্ষপাত হচ্ছে ‘কি’-‘কী’র স্বতন্ত্র বানানের দিকে। কেনো? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন বলে? তিনি গুরু, তিনি দেবতা, তিনি ভগবানÑ  এমন বোধ থেকে? না, অতি-অবশ্যই না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গুরুজন হলেও আমার গুরু নন, তিনি আমার দেবতাও নন, তিনি ভগবানও নন। আবার, তিনি ভণ্ড, কপট, অজ্ঞ, তুচ্ছ এবং অমুকের-তমুকের পায়ের কাছে বসার যোগ্য নন । যেমনটি সলিমুল্লাহ তুলে ধরেন তেমনটিও নন। এহেন মূল্যায়নের সাথে ভাষা, সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোনো সম্বন্ধ নেই। এগুলো হচ্ছে আবেগের বিষয়, যা হতে ইতিবাচক শ্রদ্ধা ও ভক্তি এবং নেতিবাচক ঘৃণা ও বিদ্বেষ। আমি সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠভাবে ‘কি’-‘কী’ স্বতন্ত্র বানানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কলম ধরেছি। আর, আমি বাংলাভাষীদের কাছে আমার ভাষ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতে তুলে ধরতে চাই। তার বর্জন করুন বা গ্রহণ করুন, তা তাদের বোধের ওপর ন্যস্ত। আমি যা লিখবো, তা হবে পাঁচটি অধ্যায়ে বা পর্বে। সেখানে পাঠক কী পাবেন, তা এখানে বলে রাখি, যাতে পড়ে পস্তাতে না হয়।

প্রথম অধ্যায়ঃ এখানে আমি দেখাবো যে, সলিমুল্লাহ খান মাইকেল মধুসূদন দত্তর যে কাব্য-চরণে ব্যবহৃত ‘কি’ শব্দের পদ-বিশ্লেষণ ও নিরূপণ করেছেন, তা সঠিক নয়। তিনি কিছুটা বুঝেছেন, কিছুটা বুঝেননি। অর্থাৎ তার পদ বিশ্লেষণের পদ্ধতি কিংবা উপলব্ধি ভ্রান্তিপূর্ণ। দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ এখানে আমি দেখাবো যে, সলিমুল্লাহ খান ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা বলে যে দুটি ভাষাতাত্ত্বিক ধারণা (যাকে তিনি ঘটনা বলেছেন) উল্লেখ করেছেন, তার কোনো সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দেননি তিনি। তার লেখা পড়ে মনে হবে, তিনি এ-গুলো সম্পর্কে হয়তো জানেন, কিন্তু তার লেখা থেকে আপনি কিছুই জানবেন না এবং বুঝবেন এই ধারণা ব ঘটনা দুটো সম্পর্কে। যাহোক, আমার বিশ্লেষণ পড়ে আপনি অচিরে বুঝবেন যে, সলিমুল্লাহ খানেরও কোনো ধারণা নেই ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা সম্পর্কে।

তৃতীয় অধ্যায়ঃ এখানে আমি আমার ধারণা ব্যাখ্যা করবো যে, সলিমুল্লাহ খান তার ব্যঞ্জনা ও লক্ষণা অব্যাখ্যাত উল্লেখ জনিত সীমাবদ্ধতা ঢাকার জন্যে বিষয় (ঘটনা) দু’টোর  সংজ্ঞা নিরূপণ ও প্রয়োগ বিধি ব্যাখার বদলে তাদের ইংরেজি প্রতিশব্দ উল্লেখ করে পাঠককে মুগ্ধ করতে চেয়েছেন কিন্তু কোনো জ্ঞান দিতে পারেনি, কারণ ইংরেজি শব্দে উল্লেখিত ধারণাগুলোও তার কাছে স্পষ্ট নয়। চতুর্থ অধ্যায়ঃ এ-অধ্যায়ে আমি দেখাবো যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্যা চিহ্নিতকরণ বাস্তব এবং তার সমাধানও বাস্তব সম্মত। তবে, তাঁর তাঁর আর্গ্যুমেণ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়টিকে যেখানে রেখে গিয়েছেন, আমাদেরকে সেখান থেকে শুরু করতে হবে। আমাদেরকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক তত্ত্ব নির্মাণ করতে হবে কি-কী স্বতন্ত্র বানান বিধানের। পঞ্চম অধ্যায়ঃ এখানে আমি আমার সাম্প্রতিক-কৃত কি-কী বিষয়ে একটি এক্সপেরিমেণ্ট বা পরীক্ষণের প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করে একটি ভাষাতাত্ত্বিক বিধান দেবো, কেনো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি-কী স্বতন্ত্র বানান-বিধানই অনুসরণ করা উচিত। তবে ঔচিত্য আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-নির্ভর (personal choice or option) নয়, বরং ভাষাতাত্ত্বিক প্রয়োজনীয়তার দ্বারা নির্দেশিত (dictated)। ২৩/০৩/২০২৪। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়