ফাহমিদুল হক: আমি ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। তখন থেকে দেখছি রমনা-শাহবাগে পহেলা বৈশাখ হয়ে আসছে। এটা স্বাভাবিকভাবে উৎসবের নিয়মে পালিত হতো। ধীরে ধীরে এটা বড় হয়েছে। তবে গত দুইতিন বছর ধরে দেখছি, কিছু মানুষ এর মধ্যে বহু হিন্দুয়ানি বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাচ্ছে। বোঝাই যায়, ইসলাম দিয়ে পহেলা বৈশাখের বিচার হচ্ছে।
ইসলাম যখন আরবে আসে, তখন তো বেহেশত থেকে আনা নতুন ও পৃথক স্বর্গীয় সংস্কৃতি চালু হয়নি। নীতি-নৈতিককতার জায়গায় নতুন অনুশাসন যুক্ত হয়েছে, কিন্তু ইসলাম-পূর্ব বহু সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আত্তীকরণ করেই ইসলাম অধিষ্ঠিত হয়েছে। এখন ইসলাম বঙ্গে আসলে বা জনপ্রিয় হলে সে যেমন আরবের সবকিছু সঙ্গে এনেছে, সাথে স্থানীয় কিছু সাংস্কৃতিক দিক আত্তীকৃত হয়েছে। ফলে এখানকার মুসলমানদের মধ্যে শতভাগ আরবের ইসলাম যারা খোঁজেন বা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, তাদের হ্রস্বদৃষ্টির মানুষ বলতে হবে। যদি ওরকম হতো, স্থানীয় কিছুর সঙ্গেই মিশেল না হতো, তাহলে এই অঞ্চলে ইসলাম জনপ্রিয় হতোই না। বাংলাদেশের মুসলমানদের সংস্কৃতির মধ্যে ‘হিন্দুয়ানি’ থাকবেই, আরবের মুসলমানদের মধ্যে যেমন আরবিয়ানা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :