সাবেত আহমেদ, গোপালগঞ্জ: [২] বিএনপি কিভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, বিএনপি'র নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উস্কানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের সিডিউল হয়ে গেছে।
[৩] প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।
[৪] শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা কে? যে ভোটারদের অধিকার কাড়বে, ভোটারদের অধিকার কাড়ার ক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।
[৬] কোটালীপাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মা, বাবা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালবাসা, আপনাদের আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি আমার মত সৌভাগ্য কারো নেই যে আমার মত এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না যেটা আপনারা করেন। আমি জানি না আর কোন প্রার্থী সৌভাগ্যবান কিনা, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।
[৭] বিএনপিকে উদ্দ্যেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখনো তারা জ্বালাও পোড়াও করছে। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ইসরাইলের কাছ থেকে, যারা ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণ করছে। নিজেরাই ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ কামিয়েছে। অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। কিন্তু এরা মানুষকে কোন দিন শান্তিতে থাকতে দেবেনা এটাই তাদের চরিত্র।
[৮] শেখ হাসিনা আরো বলেন, এখন তারা নির্বাচন করবে না। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছিল। আসলে তারা নির্বাচন করবে কি ভাবে বাস্তব কথাটা কি? বাস্তব হলো ২০০৮ সালের নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোন প্রশ্ন তোলে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন হয়েছিল।
[৯] শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুইঘন্টা ধরে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।
[১০] এ সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসেন তন্ময় এমপিসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সম্পাদনা: ইকবাল খান
প্রতিনিধি/আইকে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :