শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২৮ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৩:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল–২০২৩’এ সই না করে ফেরত পাঠালেন রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি

মনিরুল ইসলাম: [২] একাদশ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল–২০২৩’–এ সই না করে  পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বিলটিতে সই না করে গত ২০ নভেম্বর তা সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফলে এই  বিলটি এখনই আইনে পরিণত হচ্ছে না।

[৩] এদিকে, পুরো বিলটিই রাষ্ট্রপতি সই না করে পাঠিয়েছেন দেন বলে জানান আইন শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হক। 

[৪] জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা থেকে জানা  যায়, ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা এ –সংক্রান্ত বার্তাসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করে। তাতে রাষ্ট্রপতির বার্তা তুলে ধরা হয়। বার্তায় বলা হয়, বিলের দফা-৪৫ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বিধায়  উক্ত দফা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানো হয়।

[৫] চলতি একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে  শ্রম আইনের সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়। বিলটি পরীক্ষানিরীক্ষা  করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩ দিন সময় দিয়ে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আকারে  গত ২ নভেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। বিলে সম্মতির জন্য গত ৮ নভেম্বর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়।

[৬] জানা গেছে, যে দফাটি পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে সেটি বে–আইনি ধর্মঘট বা লকআউটের দণ্ডসংক্রান্ত। এটি মূল আইনের ২৯৪ ধারা। এই ধারার ১ উপধারায় শ্রমিকদের বে–আইনি ধর্মঘটের দণ্ডের কথা বলা আছে। আর ২ উপধারায় মালিক পক্ষের বে–আইনি লকআউটের দণ্ডের বিধান আছে। উভয় ক্ষেত্রে দণ্ড একই। যেভাবে বিলটি পাস হয়েছে, তাতে শুধু শ্রমিকদের বে–আইনি ধর্মঘটের জরিমানা ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ হাজার টাকা হয়েছে।

[৭] অন্যদিকে মালিকদের দণ্ড আগের মতোই রয়ে গেছে। কারণ, উপধারা–২ সংশোধিত হয়নি। 

[৮] জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের  আইন শাখার  কর্মকর্তা বলেন, চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তাই বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিলটি রাষ্ট্রপতি সই না করায়  তামাদি হয়ে যাবে। আগামী দ্বাদশ সংসদে আবার নতুন করে বিল উত্থাপন করতে হবে। সংশোধিত আকারে আবার পাস করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়