জেরিন আহমেদ: [২] আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়। পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। সূত্র: জাগো নিউজ, ঢাকা পোস্ট
[৩] সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে এ ব্যাপারটি।
[৫] এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি চলছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কার করেছি, যদি কোনো আবেদন আসে, সে আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না। এটি আইন। এর মধ্যে ঠেলাঠেলির কী দেখলেন আপনারা?
[৬] বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদকের বক্তব্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি ঘোষণা আসে। সেখানে বলা হয়, ‘যদি কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়, তখন সে দেশের সরকারের দায়িত্ব তাকে বিদেশে পাঠানো।’ এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, একটা কথা জাতিসংঘে বলা আছে। সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের আইনটা অগ্রাধিকার পাবে এবং সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনে যে অবস্থান তাকে ৪০১ ধারায় যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
[৭] সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতকে শ্রদ্ধা করি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এনএইচ
